কলকাতা: পুরসভা ও পুরনিগমগুলির কাজ নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কাউন্সিলরদের কাজ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন বৈঠকে। আর এবার প্রশ্ন উঠল খাস পুরনিগমে অন্দরেই। বিধাননগর পুরনিগমের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ সামনে আসছে, তার জন্য কার্যত মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীকেই দায়ী করলেন ডেপুটি মেয়র সব্যসাচী দত্ত।
সব্যসাচীর অভিযোগ, একের পর এক চিঠি দিলেও মেয়র কোনও উত্তর দেন না। ছ’মাস অন্তর বোর্ড মিটিং হয়। পুরনিগম এলাকায় বেআইনি নির্মাণের রমরমা চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘পার্কিং-হোর্ডিং নিয়ে বেআইনি কারবার জাঁকিয়ে বসেছে। এ সব থেকে পুরনিগমের আয় না বাড়িয়ে মেয়র পুরমন্ত্রীর কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন সব্যসাচী।’
শুধু তাই নয়, একই কৌশলে মেয়রকে নিশানা করেছেন ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ অনিতা মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, রাস্তার বরাত দেওয়া হলেও ঠিকাদারেরা কাজ করতে চাইছেন না। তাঁর দাবি, ঠিকাদারেরা বলছেন তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না। ডেপুটি মেয়র বলেন, মেয়র আমাদের অভিভাবক। টাকা ঠিকাদারেরা কাজ করেও কেন পাচ্ছেন না, সেটা মেয়র ভালো জানেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশন না দেওয়ার কারণেই হকের টাকা পাচ্ছেন না ঠিকাদারেরা। যে টাকার বিনিময়েই বিধাননগরে বেআইনি হোর্ডিংয়ের রমরমা। এমনই দাবি করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল আউটডোর হোর্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সমিতির সদস্য সুজয় সাহা। কাউন্সিলরদের একাংশকে টাকা দিয়েই বিধাননগর পুর এলাকায় হোর্ডিং লাগানোর ছাড়পত্র মিলছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন হোর্ডিং ব্যবসায়ী।
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়ার জন্য ফোন করা হয়েছিল। ফোন ধরে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু বলব না। একটা স্কুলের মিটিংয়ে আছি।’ এই বলে উনি ফোন কেটে দেন কৃষ্ণা।