Sajal Ghosh Bengal BJP: ‘সাহস থাকলে শ্রীভূমিতে গিয়ে হামলা করুক’, প্রতিবাদ মিছিলে সজল ঘোষকে পুলিশি-বাধা, ধুন্ধুমার
Sajal Ghosh Bengal BJP: বিজেপি নেতৃত্বকে থানার বাইরেই আটকে দেয় পুলিশ। কলকাতা পৌরনিগমের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষকে আটকে দেওয়া হয়। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
কলকাতা: সল্টলেকে বিজেপির দফতরে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ। প্রতিবাদে বিধাননগর পূর্ব থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি বিধাননগর পুরভোটের বিজেপি প্রার্থীদের। বিক্ষোভকারীদের রুখতে মোতায়েন কমব্যাট ফোর্স, RAF। আটক করা হয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকেও। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় থানা চত্বরে। বুধবার সকালে থানার সামনের রাস্তাতেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি প্রার্থীরা। স্লোগান দিতে থাকেন, ‘তৃণমূল গুণ্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হও’। বিজেপির বিধাননগর পৌরনিগমে ৪১ জন প্রার্থী এই বিক্ষোভে সামিল হন। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও।
বিধাননগর পৌরনিগমের বিজেপি প্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁরা যখন প্রচারে বের হচ্ছেন, তাঁদেরকে বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিজেপি কর্মী ও প্রার্থীদের মারধর করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার আরও একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেক চত্বর। ডিজে ১/৯৩-এ বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা হয় মঙ্গলবার। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা সেখানে হামলা চালায়। কার্যালয়ের আসবাবপত্র, কম্পিউটার ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি বন্দুকের বাঁট দিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধরও করা হয়। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে শাসকদল।
মঙ্গলবারই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যান দত্তাবাদে। আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন তিনি। মহিলাদেরকেও মারধর, শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবারই বিধাননগর পূর্ব থানায় গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার প্রেক্ষিতে উপযুক্ত ধারায় যাতে সঠিক মামলা দায়ের করা হয়. সেই দাবি জানিয়ে আলেন বিরোধী দলনেতা।
বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় মামলা, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ৩৫৪ ধারায় মামলা রুজু করার কথা জানান বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে সব কিছু বলার পরও বুধবার বেলা পর্যন্ত অধরাই ছিল অভিযুক্তরা। তৃণমূল আশ্রীত হওয়ায় কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। প্রতিবাদে এদিন সকালে বিধাননগর পৌরনিগমের ৪১ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা, কর্মী সমর্থক ও রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব বিধাননগর পূর্ব থানায় বিক্ষোভ দেখান।
মিছিল এগোতেই বিজেপি নেতৃত্বকে থানার বাইরেই আটকে দেয় পুলিশ। কলকাতা পৌরনিগমের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষকে আটকে দেওয়া হয়। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কর্মী সমর্থকরা। যতক্ষণ পর্যন্ত না অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
থানার বাইরেই দাঁড়িয়ে হামলার নেপথ্যে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তের দিকে আঙুল তুলেছেন সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “এক সাহেবের দল কাল হামলা চালিয়েছে, আর সাহেবের কুকুররা এখন আমাদের আটকাচ্ছে। সাহস থাকলে শ্রীভূমিতে গিয়ে হামলা চালিয়ে দেখুক না, কত দম বুঝব! সেখানে তো যাবেন না।” তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেছেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। কিছু বলার তো প্রশ্নই আসে না।”
আরও পড়ুন: Bengal COVID Protocol: মৃত্যু ঠেকাতে কোভিড প্রোটোকলে বদল, কোন পথে হাঁটছেন চিকিৎসকরা?