AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SBSTC Bus Service: ২৬ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি, বড় ঘোষণা পরিবহণমন্ত্রীর

SBSTC Bus Service: ছয় দিন ধরে চলছে কর্মবিরতি। কর্মীদের বক্তব্য, সরকার নয় ক্ষোভ, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে।

SBSTC Bus Service: ২৬ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি, বড় ঘোষণা পরিবহণমন্ত্রীর
আসানসোল এসবিএসটিসি বাস ডিপো, (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2022 | 1:07 PM
Share

কলকাতা: লাগাতার আন্দোলনের জেরে বড় ঘোষণা করলেন পরিবহণমন্ত্রী। অস্থায়ী কর্মীদের দাবি মেনে মাসে ২৬ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি দিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। অবিলম্বে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার আর্জি জানালেন তিনি। পুজোর পর ছুটি সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়েও আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন ডিপোতে এতদিন চলছিল বিক্ষোভ। আন্দোলনে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল এসবিএসটিসি পরিষেবা। পুজোর মুখে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়রানির মুখে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।

পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “পুজোর মুখে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীদের ২৬ দিনের কাজের একটা দাবি ছিল। আমি এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি। ২৬ দিনের কাজ ওদের দেওয়া হবে। আমি পুজো মিটলেই কথা বলব ওদের সঙ্গে। ”

লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে একের পর এক বাস। গড়াচ্ছে না চাকা। এসবিএসটিসি-র অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। এদিকে কতৃপক্ষ বলছে বিছিন্নতাবাদীরা মদত দিচ্ছে এসবিএসটিসি-র অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনে। তবে দুর্গাপুর ডিপোর কর্মীরা বলছেন, তাঁরা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল নয় আইএনটিটিইউসি-র সদস্য। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, মুখ্যমন্ত্রীকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। পরিবহণ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে পরিবহণমন্ত্রীকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। এরপরই মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী নিজের দফতরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।

তবে কর্মীদের বক্তব্য, সরকার নয় ক্ষোভ, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমস্যা সমাধানের আবেদন এসবিএসটিসি অস্থায়ী কর্মীদের। তবে ক্ষমা চাইছেন সমস্যায় পরা সাধারণ মানুষের কাছে।

গত শুক্রবার সকালে আসানসোলের বাস ডিপোয় শুরু হয় বিক্ষোভ। সেখানে অস্থায়ী কর্মীরা পুজোর আগে স্থায়ীকরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এক কর্মী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা অস্থায়ী হিসাবেই কাজ করছি। কাজ করি, কিন্তু আলাদা করে কোনও সুবিধা পাই না। স্থায়ী হলে আমাদের ভবিষ্যতটাও নিশ্চিত হত। এই নিয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি।” এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় প্রাথমিক পর্যায়ে এক বৈঠক হয়। রাজ্যের সমস্ত অস্থায়ী কর্মীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে হয় সেই বৈঠক। তাতে ফল না বের হওয়ায় সমস্যার সমাধান হয় না।