ফিরহাদ হাকিমের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত, তবে কি উঁকি দিচ্ছে কোনও ঝুঁকি?

নিরাপত্তা আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী বর্তমানে যে পরিমাণ নিরাপত্তা পান তা যথেষ্ট নয়। সে ক্ষেত্রে আরও নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।

ফিরহাদ হাকিমের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত, তবে কি উঁকি দিচ্ছে কোনও ঝুঁকি?
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Jun 04, 2021 | 7:23 PM

কলকাতা: নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের নতুন পরিবহন এবং আবাসন মন্ত্রীর। রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তাদের এক বৈঠকে শুক্রবার এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর সূত্রের।

শুধু তো রাজ্যের জোড়া দফতরের মন্ত্রী নন। এ বাদেও কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরের নেতা ফিরহাদ হাকিম। যে কারণে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ডিরেক্টর অব সিকিওরিটির কর্তাদের বৈঠকে আজ উঠে আসে, ফিরহাদ হাকিম যে স্তরে রয়েছেন এবং তাঁকে যে রকম স্পর্শকাতর জায়গায় যেতে হয়, তাতে তাঁর নিরাপত্তার উপরে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন।

কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নিরাপত্তা কোনও খামতি রয়েছে কি না তা দেখতে এ দিন পুরসভায় আসেন ডিরেক্টর অফ সিকিওরিটির কর্তারা। ফিরহাদ হাকিমের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে কি না, এ দিন কলকাতা পুরসভায় এসে সেই রিভিউ করেন তাঁরা। এরপর নিরাপত্তা আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী বর্তমানে যে পরিমাণ নিরাপত্তা পান তা যথেষ্ট নয়। সে ক্ষেত্রে আরও নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিলে শংসাপত্রে এ বার মমতার ছবি, হুবহু মোদীর মতই, কী যুক্তি স্বাস্থ্য ভবনের?

সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতেও নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামিদিনে যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে যাতে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া যায় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, নারদকাণ্ডে অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁর গ্রেফতারি এবং তার পরের ঘটনাপ্রভাব আজকের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়ে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: ফোন না ধরা নিয়ে পালটা খোঁচা ‘ডি’-র, তথাগত বললেন, ‘দিল্লি গিয়ে অনেক কথা বলার আছে’