AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Harassment at Workplace: ‘আমার উপর অন্য নজর, নিজের লালসা চরিতার্থ করতে চান’, ব্রাত্য বসুকে বিস্ফোরক চিঠি শিক্ষিকার

Bolpur: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে লেখা চিঠিতে ওই শিক্ষিকা উল্লেখ করেন, এই স্কুলেই ১৭ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।

Harassment at Workplace: 'আমার উপর অন্য নজর, নিজের লালসা চরিতার্থ করতে চান', ব্রাত্য বসুকে বিস্ফোরক চিঠি শিক্ষিকার
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ শিক্ষিকার। প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Dec 07, 2021 | 12:30 PM
Share

কলকাতা: শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বার বার অভব্য আচরণেরও অভিযোগ তুললেন ওই শিক্ষিকা। বোলপুরের ওই শিক্ষিকা এবার বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি লিখলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। জানা গিয়েছে বোলপুরের এক স্কুলে পড়ান ওই শিক্ষিকা। সেই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ লিখিত আকারে শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, লাগাতার প্রধান শিক্ষক তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। এমন কী ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে তাঁর উপর নজরদারিও চালান। শিক্ষিকার দাবি, যৌন লালসা চরিতার্থ করতে বার বার তাঁকে কুপ্রস্তাবও দেন প্রধান শিক্ষিক। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

অভিযোগকারী শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের প্রধান শিক্ষক মহাশয় একেবারেই নারীদের সম্মান করেন না। আমার উপর একটা অন্য নজর ওনার। উনি ওনার যৌন লালসা মেটানোর তাগিদ রেখেছিলেন। তার জন্য উনি মাঝেমধ্যেই আমাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। এই প্রস্তাব আমি যেহেতু মেনে নিইনি, তাই উনি নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করেন। অপদস্থ করেন। কিন্তু কোনওভাবেই আমাকে ওনার পথে চালাতে পারেননি। এরপরই উনি স্টাফ রুমে সিসিটিভি লাগিয়ে দেন। স্টাফ রুমে লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে উনি আমাকে সবসময় আমার উপর নজরদারি চালান। আমাকে এও বলেছেন, যদি আমি ওনার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করি বাইরে, তা হলে উনি আমাকে নানা সুযোগ দেবেন।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি, “এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সিসিটিভি গোটা স্কুলেই লাগানো রয়েছে। আমার ঘরে তো রয়েছেই, স্টাফ রুমে, ক্লাস রুমেও রয়েছে। মোট ১৬টা সিসিটিভি আমাদের স্কুলে লাগানো রয়েছে। সুতরাং নির্দিষ্ট কোনও ক্যামেরা দিয়ে কোনও শিক্ষিকাকে দেখার প্রশ্নই নেই। দ্বিতীয় কথা, কেউ যদি দাবি করেন কুপ্রস্তাব দিয়েছি, তা হলে তা তো প্রমাণেরও বিষয় থাকে। এর আগেও এসব বলেছেন।”

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে লেখা চিঠিতে ওই শিক্ষিকা উল্লেখ করেন, এই স্কুলেই ১৭ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। অভিযোগকারী লেখেন, ‘আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দ্বারা আমি নানাভাবে নির্যাতিত। উনি বহুদিন ধরে আমাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। তাতে আমি রাজি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে প্রতিপদে হেনস্তা ও অপদস্থ করেন। যার ফলে আমি সবসময় আতঙ্কে থাকি।’

ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল বাস  না চলার জন্য তিনি ঠিকমতো স্কুলে যেতে না পারায় ১৩ হাজার টাকা বেতন থেকেও কেটে নিয়েছেন। বাচ্চার দেখাশোনার জন্য যে ছুটি পাওয়ার কথা তাও তাঁকে দেওয়া হয় না। এমন কী ছোট মেয়ের অসুস্থতার জন্য তিনি দু’দিন ছুটি নেওয়ায় ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ শিক্ষিকার। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, অনুপস্থিতির কারণে উইদাউট পে করায় ওই শিক্ষিকা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এসব করছেন।

আরও পড়ুন: Body Recover: হোটেলের নীচে পড়ে রয়েছে দেহ! সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আঁতকে উঠল হোটেলের কর্মীরা