দিনে-দুপুরে নিউ টাউনে শ্যুটআউট, পুলিশের গুলিতে মৃত কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার-সহ দুই দুষ্কৃতী
আবাসনে লুকিয়ে ছিল পঞ্জাবের একদল কুখ্যাত দুষ্কৃতী।
কলকাতা: দিনের আলোয় নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনের কাছে চলল গুলি। কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বিপদ বুঝে পাল্টা আক্রমণের পথে যায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। প্রকাশ্যে একেবারে বলিউডি কায়দায় চলে গুলির লড়াই। দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন এসটিএফের ওসি। আর পুলিশের পাল্টা গুলিতে পাঞ্জাবের এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লারের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক দুষ্কৃতীর। মাদক ব্যবসায় জড়িত জয়পালের খোঁজ করতেই তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। এদের কাছে একাধিক অস্ত্র আছে বলে আশঙ্কা পুলিশের। অভিজাত এলাকায় এই ধরনের গোলাগুলির ঘটনা সাম্প্রতিককালে কার্যত নজিরবিহীন।
বুধবার দুপুরে নিউ টাউনে যে ঘটনা ঘটল, তা এলাকার মানুষের কাছে একেবারে অপ্রত্যাশিত। আবাসনেই ওই দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দিয়ে ছিল বলে খবর আসে কলকাতা পুলিশের কাছে। পঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই এ দিন তল্লাশি অভিযানে যায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। টাস্ক ফোর্সের জওয়ানদের এগোতে দেখেই আবাসনের ঘরের ভিতর থেকে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তা সত্ত্বেও এগিয়ে যায় পুলিশ। আর তখনই দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন এসটিএফের ওসি (এক্সপ্লোসিভ) কার্তিক ঘোষ। পুলিশ চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলায় পালানোর পথ পায়নি দুষ্কৃতীরা। মরিয়া হয়ে গুলি চালাতে থাকে তারা। পুলিশ বুঝে যায়, শুধু সাধারণ বন্দুক নয়, আরও অনেক অস্ত্র আছে তাদের কাছে। তখনই পুলিশ পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। আর তাতেই মৃত্যু হয় দুই দুষ্কৃতীর। তাদের মধ্যেই একজন জয়পাল সিং ভুল্লার বলে জানা গিয়েছে। আহত পুলিশ অফিসারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আতঙ্কে আবাসন থেকে বেরিয়ে এসেছেন বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে এই জয়পাল সিং ভুল্লার পঞ্জাবে একের পর এক অপরাধের ঘটনায় জড়িত। জয়পাল নিজে ও তার গ্যাং-এর লোকেরা অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পঞ্জাবে তাদেরই গ্যাং প্রকাশ্যে পুলিশকর্মীকে খুন করে। এরপর থেকেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছিল পাঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু তারা কী ভাবে কলকাতার উপকন্ঠে এসে এ ভাবে দিনের পর দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছেন শুভেন্দু: ফিরহাদ
আগে থেকে খবর ছিল বলেই এ ভাবে তল্লাশি অভিযান চালাতে যায় পুলিশ। এখনও সেই অপারেশন জারি আছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে ওই আবাসনকে। নামানো হয়েছে র্যাফ।