বিজেপিতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছেন শুভেন্দু: ফিরহাদ
"বিজেপি (BJP)-তে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ফেঁসে গিয়েছেন। তাই নিজেকে বাঁচাতে এবং নিজের পদ বাঁচাতে বারবার দিল্লি দৌড়চ্ছেন তিনি।''
কলকাতা: “বিজেপি (BJP)-তে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ফেঁসে গিয়েছেন। তাই নিজেকে বাঁচাতে এবং নিজের পদ বাঁচাতে বারবার দিল্লি দৌড়চ্ছেন তিনি।” বুধবার এভাবেই বিধানসভার বিরোধী নেতাকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শুভেন্দু। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন তাঁর একসময়ের রাজনৈতিক সতীর্থ ফিরহাদ।
তাঁর কথায়, “বিজেপি (BJP)-তে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ফেঁসে গিয়েছেন। তাই নিজেকে বাঁচাতে এবং নিজের পদ বাঁচাতে বারবার দিল্লি দৌড়চ্ছেন তিনি।” তিনি আরও দাবি করেন, শুভেন্দুকে নিয়ে বিজেপিরও ‘মোহভঙ্গ’ হয়েছে। বিজেপি বুঝেছে, এ রাজ্যে সরকার পালটাতে গেলে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীকে দলে নিলে বা তাঁর ওপর নির্ভর করলেই হবে না।
আর এ কারণেই নাকি নন্দীগ্রামের বিধায়ককে বারবার দিল্লি দৌড়তে হচ্ছে, দাবি ফিরহাদের। তাঁর টিপ্পনী, সেখানে (দিল্লি) নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের সঙ্গে দেখা করে, তাঁরা যে ধরনের কথা শুনতে পছন্দ করেন, সে ধরনের কথা বলছেন শুভেন্দু। তাই এ রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ, শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা-সহ বিজেপি নেতাদের পছন্দের কথা বলে তাঁদের প্রিয়পাত্র হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী।
দলবদলুদেরও কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “যে বা যাঁরা কোনও মোহের বসে বা কোন বড় কিছুর লক্ষ্যে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, দেরিতে হলেও তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। এটা শুভ লক্ষণ।” তিনি জানান, যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা এখন বুঝতে পারছেন, এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তদের ‘বেসুরো’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন: পৌঁছে গিয়েছিলেন সময়ের আগেই, থাকলেন ৪০ মিনিট! রুদ্ধদ্বারে ঠিক কী হল শুভেন্দু-প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথন?
পাশাপাশি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদাসীনতার কারণে দিন দিন পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে বলে দাবি করেন ফিরহাদ। বলেন, “পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, আগামী দিনে মানুষ ব্যাগ ভর্তি করে টাকা নিয়ে বাজার করতে যাবে। আর ঠোঙায় করে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরে আসবে।”