‘পুরসভার ঠিকাদার এসেই ফলক বানানোর অর্ডার দিয়েছিল’, নির্মাণকারী সোনুর বক্তব্যে বাড়ছে বিতর্ক
Fake IAS Debanjan Deb: ফলকে কার কার নাম থাকবে, কাগজে লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন ওই ঠিকাদার। তবে ফলকে যোগ থাকার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে পুরসভা।
সায়ন্ত ভট্টাচার্য: তালতলার রবীন্দ্র মূর্তিতে খোদাই করা দেবাঞ্জন দেবের নাম। গোটা গোটা অক্ষরে নামের আগে লেখা ‘যুগ্ম সচিব, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’ সেই নাম চোখে পড়তেই তড়িঘড়ি পুরসভার উদ্যোগে ভাঙা হল সেই ফলক। কিন্তু ফলক বানাতে বলল কে? যে ফলকে খোদ পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের নাম রয়েছে, তার সঙ্গে কি পুরসভার কোনও যোগ নেই? ফলক ঘিরে যখন এমন সব প্রশ্ন উঠে আসছে, তখন মূর্তি নির্মাণকারী সোনু সিং-এর কথা বিতর্ক বাড়ল আরও। তাঁর দাবি, পুরসভার ঠিকাদার এসেই তাঁকে অর্ডার দিয়ে গিয়েছিলেন। কার কার নাম থাকবে, সেটাও তিনিই লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন। ওই ঠিকাদার ভুয়ো কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
সোনু সিং নামে ওই ব্যক্তি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে এক ব্যক্তি এসে তাঁকে ফলক তৈরির অর্ডার দেন। যিনি এসেছিলেন তিনি নিজেকে পুরসভার ঠিকাদার বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন বলে জানান সোনু। ফলকে কার কার নাম থাকবে সেটা একটি কাগজে লিখেও দিয়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে পরে কোনও নাম সংযোজন হয়েছিল না, তা মনে করতে পারছেন না সোনু। তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ে ফলক তৈরি করে দেন তিনি।
অন্য দিকে, এই ফলকের সঙ্গে যে পুরসভার কোনও সম্পর্ক নেই, তা আগেই দাবি করেছেন বিধায়ক তথা পুর প্রশাসক-মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, পুরসভা ওই ফলক তৈরি করতে বলেনি। ওই ফলকে যাঁদের নাম আছে তাঁদের মধ্যে কেউই ফলক উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন না। কো-অর্ডিনেটর ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনুষ্ঠানে থাকতে চাননি বলে উল্লেখ করেন অতীন ঘোষ। ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনার দায় এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর দাবি, ফলক তৈরির ক্ষেত্রে তিনি নিজে কোনও উদ্যোগ নেননি। আজ যখন পুরসভা থেকে ফলক ভাঙতে বলা হয়েছে, তখনই তিনি এসেছেন।
আরও পড়ুন: ‘আমার নামে তো কত ফলক লাগানো আছে! নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ছবি তুললে সেই তদন্ত কে করবে?’
অন্য দিকে, এই প্রসঙ্গে পুরসভার যোগ থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ববি হাকিমও। তিনি বলেন, ‘আমার নামে কত ফলক আছে, তার হিসেব দেওয়ার আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার অফিসারদের পক্ষেও সম্ভব নয়।’ ফলকে তাঁর সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের নাম থাকলেও বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন ববি।