‘মুকুল তো অপমান করেননি…’, কিসের ইঙ্গিত দিলেন সৌগত!

গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা বেড়েছে মুকুল রায়কে (Mukul Roy) ঘিরে। তৃণমূলে (TMC) ফিরবেন এই পুরনো সৈনিক? উঠছে প্রশ্ন।

'মুকুল তো অপমান করেননি...', কিসের ইঙ্গিত দিলেন সৌগত!
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 10, 2021 | 3:03 PM

কলকাতা: শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভাল। এই কথা ভোটের আগেই শোনা গিয়েছিল খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখ থেকে। ভোট প্রচারে গিয়ে দল ছেড়ে যাওয়া দুই পুরনো সৈনিকের তুলনা করেছিলেন মমতা। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক হয়েছেন মুকুল রায়, তবে তার পরও তাঁকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনা। ঘাসফুল শিবিরে ফিরবেন মুকুল রায়? জবাব দেবে সময়। তবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সম্প্রতি যা বললেন, তাতে ইঙ্গিত যেন আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে অনেক দলবদলু নেতাই ফিরতে চেয়েছেন তৃণমূলে। কেউ সরাসরি বলেছেন, ‘আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ কেউ আবার দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠায়, তৈরি হয়েছে জল্পনা। এ‌রই মধ্যে দলবদল সম্পর্কে মন্তব্য করলেন সৌগত রায়। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি স্বীকার করেছেন, বিজেপির অনেক নেতাই যোগাযোগ করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সৌগত রায়ের মতে, যাঁরা যোগাযোগ করছেন তাঁদের দুটি ভাগে ভাগ করা সম্ভব, হার্ডলাইনার ও সফটলাইনার।

কারা হার্ডলাইনার? ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সৌগত বলেছেন যে সব নেতা দল ছেড়েছেন তো বটেই, সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন। আর বাকিরা হলেন সফটলাইনার, যাঁরা দল ছাড়লেও নেত্রীকে অপমান করেননি কখনও। আর সেই দুই ভাগের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উদাহরণ হিসেবে মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ করেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছেন কিন্তু মুকুল রায় কখনও নেত্রী সম্পর্কে খারাপ কথা বলেননি। আর সৌগত রায়ের এই কথা থেকেই বেড়েছে জল্পনা। তবে ‘সফটলাইনার’ হিসেবে দলে ফের সুযোগ দেওয়া হবে মুকুলকে?

আরও পড়ুন: চুক্তিপত্রের কোথাও নামই নেই ভুল্লারদের! সাপুরজির সেই ফ্ল্যাটের আসল মালিকানা নিয়েই গহীন রহস্য

জল্পনার সূত্রপাত হয় মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে যাওয়া নিয়ে। হাসপাতালে একমো সাপোর্টে রয়েছেন মুকুলের স্ত্রী। এরই মধ্যে আচমকা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার আগেই মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরেও জল্পনা বাড়ে। ইঙ্গিতে বিজেপির আত্মসমালোচনার কথা তিনি বলেছিলেন সেই পোস্টে। এরপরই অভিষেক হাসপাতালে যাওয়ায় মুকুল ও মমতার দূরত্ব কমছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিষেকের পরই মুকুলের স্ত্রীকে দেখতে যান দিলীপ ঘোষ। ২৪ ঘণ্টা পরই ফোনে খোঁজ নেন খোদ নরেন্দ্র মোদী।