কলকাতা: মেডিক্যাল টেস্টের পর রাতভর জেরা করা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এসপি সিনহা, অশোক সাহাকে। তদন্তকারী অফিসার জেরা করেন। সূত্রের খবর, জেরায় নিয়োগ সুপারিশ নিয়ে দায় অস্বীকার করেন এসপি সিনহা। তাঁর দাবি, কমিটির প্রধান হলেও পূর্ণ ক্ষমতা ছিল না। তাঁর সই জাল করে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি। ধৃতদের আজ আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। তাদের তদন্তের মূল হাতিয়ার ছিল আর এন বাগ কমিটির রিপোর্ট। তদন্তে নেমে বেনিয়মের প্রমাণ পেয়েছিল সিবিআই। আর দুর্নীতির প্রমাণ সিবিআই-এর হাতে এনে দেয় ইডিও। বুধবার সকাল ১১টা থেকে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় অশোক সাহা ও শান্তিপ্রসাগ সিনহা।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সহ সচিব, পরে সচিব ও চেয়ারম্যানও ছিলেন অশোক সাহা। একাধিকবার দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তল্লাশি হয়েছে বাড়িতে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রতিবারই তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
মেডিক্যাল চেকআপের জন্য নিজাম প্যালেস থেকে বুধবার রাতে বার করা হয়েছিল দু’জনকে। কিন্তু ক্যামেরার সামনে মুখে কুলুপ। নিজাম প্যালেস থেকে সোজা শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল। অভিযোগ, উঠলে নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় ভূমিকা রয়েছে দুজনেরই। তাঁদের আমলেই মূলত নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতি উঠেছে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। এমন ৩৮১ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল, যাঁদের ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি।
পরেশ কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরিও হয় এই আমলেই। ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরির জন্য এসএসসি-র ১১ কর্তাকে কাঠগড়ায় তোলে বাগ কমিটি। তার মধ্যেই প্রাক্তন ২ কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে সিবিআই।