Panchayat Election 2023: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত: রাজীব সিনহা

Central Force issue: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের বর্তমান অবস্থান ঠিক কী? প্রশ্ন করা হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সাফ বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

Panchayat Election 2023: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত: রাজীব সিনহা
রাজীব সিনহা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2023 | 9:01 PM

কলকাতা: রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে আর্জি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী ভাবছে নির্বাচন কমিশন? আদৌ কি পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে? নাকি রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হবে? সেই নিয়ে জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের বর্তমান অবস্থান ঠিক কী? প্রশ্ন করা হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সাফ বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

আজ কমিশনের অফিস থেকে বেরনোর সময় রাজীব সিনহা বলেন, ‘আগামিকাল আমরা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত জানতে পারব। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেখার পরই আমরা বলতে পারব।’ উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আদালতে ছুটোছুটি হচ্ছে। কমিশন যেদিন পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল, সেদিনই রাজীব সিনহা রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা বার বার বলে আসছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে প্রথমে যখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ওঠে, তখন আদালত স্পর্শকাতর কিছু জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কমিশনের বক্তব্য ছিল, তারা স্পর্শকাতর বলে কোনও জায়গাই চিহ্নিত করেনি। সেই নিয়ে তারা আবার হাইকোর্টে যায়, রায়ের ওই অংশটুকুর রিভিশন চেয়ে। দ্বিতীয়বার হাইকোর্টে গিয়ে জোর ধাক্কা খায় কমিশন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য। একইসঙ্গে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিকেও দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য বলা হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন।

এদিকে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি। মনোনয়ন পর্বের দিনগুলি যত এগিয়েছে, তত পরিস্থিতি খারাপের দিকে গিয়েছে। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ভাঙড়ের বেশ কিছু এলাকায়। গোলাগুলি-বোমাবাজি-রক্তারক্তি-মৃত্যু সব কিছুই এই ক’দিনে দেখে নিয়েছে বাংলা। শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষেরই রক্ত ঝরেছে, মৃত্যু হয়েছে।