Calcutta High Court: ‘উনি তো নোবেল ব্যক্তি, ওঁর বেতন বন্ধ করুন, গ্রেফতার করুন’, CID-র ওপর কোনও চাপ আছে কি না, জানতে চাইলেন বিচারপতি
Calcutta High Court: জেলে নিয়ে গিয়ে সিরাজুলকে জেরা করা হয়েছে কি না, সেটাও জানতে চান বিচারপতি। তিনি বলেন, "ওঁকে ২০০১-এ জেলে ঢোকানো উচিৎ ছিল। আপনাদের ওপর কোনও চাপ আছে নাকি?"

কলকাতা: দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের শিক্ষকনেতা সিরাজুলকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার সেই নির্দেশের পরিবর্তন করে ওই বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা বিচারাধীন থাকায় বরখাস্তের বদলে আপাতত সাসপেন্ড করা হয় ওই শিক্ষককে। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলল না। ডিভিশন বেঞ্চ আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করলেও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে বিড়ম্বনায় পড়তে হল সিরাজুলকে।
কেন অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও এতদিন ধরে ওই শিক্ষকনেতাকে গ্রেফতার করা হল না? গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে সিআইডি-র ওপর কোনও চাপ আছে কি না, তা এ দিন জানতে চান হাইকোর্টের বিচারপতি। আজই (শুক্রবার) সিরাজুলকে গ্রেফতার করা সম্ভব কি না, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সিআইডি-র উদ্দেশে এদিন বিচারপতি বসু বলেন, “উনিতো সেই নোবেল ব্যক্তি, ওঁর বেতন বন্ধ করুন। ওঁকে দু-তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার করুন।” জেলে নিয়ে গিয়ে সিরাজুলকে জেরা করা হয়েছে কি না, সেটাও জানতে চান বিচারপতি। তিনি বলেন, “ওঁকে ২০০১-এ জেলে ঢোকানো উচিৎ ছিল। আপনাদের ওপর কোনও চাপ আছে নাকি? ওঁকে জেলে পাঠানো হচ্ছে না কেন?” সিআইডি জানিয়েছে, আমরা নথি সংগ্রহ করছিলাম। তাই গ্রেফতার করা হয়নি।
এক কথা শুনে আরও ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, “কথা ঘোরানোর চেষ্টা করবেন না। একবার হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছে। আর একবার কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিয়োগ বেয়াইনিভাবে হয়েছে। আর কী তথ্য চাই?” সিআইডি-কে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “আজকের মধ্যে কি গ্রেফতার করতে পারবেন?” সিআইডি উত্তরে বলে, “আমরা চেষ্টা করব।” রাজ্যকে বিচারপতি বসু জানান, উনি যদি স্কুলে যদি যান তাহলে সিরিয়াস পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্দেশ পরিবর্তন করে এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিরাজুলকে বরখাস্ত করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিঙ্গল বেঞ্চ। এর আগে সিরাজুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই রায়ের প্রভাব যাতে চাকরিতে না পড়ে, তাই ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হন সিরাজুল। ডিভিশন বেঞ্চ উলটে সেদিনই চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয়।





