কলকাতা: এবার আরও বিপাকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কাকুর বিরুদ্ধে এবার চার্জশিট জমা দিতে চলেছে ইডি। চলতি সপ্তাহেই জমা পড়তে চলেছে চার্জশিট। কাকুর থেকে নিয়োগ দুর্নীতির ১১ কোটির বেশি টাকার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়টিই চার্জশিটে উল্লেখ করবে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা একাধিক সংস্থা ও নির্মাণ সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলেও ইডি-র হাতে তথ্য এসেছে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের মাধ্যমে নিজের সংস্থার শেয়ার দর বেআইনিভাবে বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কালঘাটের কাকু হাওয়ালা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রের খবর,নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা নিজের পকেটে পুড়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। সেই টাকা তিন থেকে চারটি সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন। একাধিক নির্মাণ সংস্থার শেয়ার দর বেআইনিভাবে বাড়িয়ে অন্য একটি সংস্থাকে দিয়ে শেয়ার কিনিয়েছিলেন। কুন্তল-শান্তনুদের সঙ্গে কীভাবে তিনি নিয়োগ দুর্নীতির কারবার চালিয়েছিলেন, সেটাই ইডি তদন্তকারীরা চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন। চলতি সপ্তাহেই ইডি কালীঘাটের কাকুর বিপদ বাড়াতে চলেছে বলে খবর।
কাকুর আরও কারবারের খোঁজ পেতে জুলাইয়েই শহরের তিন পয়েন্টে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এজেসি বোস রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে হানা দেয় ইডি। মূলত এই তিনটি অফিসই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কাকুর টাকা এই সমস্ত সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে খবর পান ইডি আধিকারিকরা।
এখনও পর্যন্ত কালীঘাটের কাকুর ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেগুলির ওপর নজর রাখছেন তদন্তকারীরা।