Rabindra Nagar: ‘ভদ্রভাবে বলতে গিয়েছিলাম…’, রাজীব কুমারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে গেলেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এদিন ছিলেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন সাধু-সন্তরা। তাঁদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভবানী ভবন চত্বর।

কলকাতা: রবীন্দ্র নগরের ঘটনার রেশ পৌঁছল কলকাতায়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্র নগর এলাকায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতেই ভবানী ভবনে ছুটলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ প্রমুখ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামানো হোক, এই দাবি জানান তাঁরা।
বুধবার দুপুর থেকে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে উত্তেজিত জনতা। আহত হন একাধিক পুলিশকর্মী। শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ভাঙচুর চালানো হয়েছে এলাকার একাধিক বাড়ি ও দোকানে।
পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার পর ভবানী ভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানান তিনি। কিন্তু ডিজি তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। শুভেন্দু ও অন্যান্য বিধায়করা বেরিয়ে এসে কার্যত বিক্ষোভ দেখান ভবানী ভবন চত্বরে। সঙ্গে ছিলেন সাধু-সন্তরা।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পুলিশের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে। তাই ভদ্রভাবে দেখা করতে এসেছিলাম। বলতে এসেছিলাম, যাতে প্যারামিলিটারি চাওয়া হয়। কিন্তু উনি ঠান্ডা ঘরে বসে আছেন।” এরপর কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেন, “বৃহস্পতিবার বিধানসভায় আর আদালতে দেখা হবে।”
এই ইস্যুতে যে শুভেন্দু আদালতের দ্বারস্থ হবেন, সে কথা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যে এই ইস্যুতে বিধানসভা উত্তাল হবে, সে কথাও বলে দিয়ে যান শুভেন্দু।





