Swastha Sathi Card: ২০০ কোটি বাকি স্বাস্থ্য সাথীর, বাড়ছে চাপ, অবশেষে মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস রাজ্যের
Swastha Sathi Card: চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরও মিলছে না টাকা। এমনই অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
কলকাতা : সাধারণ মানুষ যাতে কম টাকায় ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই উদ্দেশেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই বিভ্রাট। রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার পরও রাজ্য সরকারের তরফে টাকা দেওয়া হচ্ছে না হাসপাতালগুলিতে। সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফ থেকে অভিযোগ উঠতেই বিষয়টি সামনে আসে। টিভি৯ বাংলায় গত কয়েকদিন ধরে সেই খবর তুলে ধরা হয়েছে। শুধু বেসরকারি হাসপাতালগুলিই নয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের তরফ থেকেই এই অভিযোগ নিয়ে চিঠি দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ভবনে। আর এবার সেই খবরের জেরে দ্রুত বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম টাকা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যসাথীতে বকেয়া মেটানোর জন্য চাপ বাড়াচ্ছিল হাসপাতালগুলি। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকদের দাবি, অস্ত্রোপচারের পরেও তাঁরা পাচ্ছেন না পারিশ্রমিক। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে এই মর্মে চিঠিও দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনের পর দিন চিকিত্সা করছেন, চলছে অস্ত্রোপচার, কিন্তু টাকা পাচ্ছেন না। টাকা মেটানোর আর্জি নিয়েই স্বাস্থ্যভবনের দ্বারস্থ হয়েছে চিকিত্সক সংগঠন।
কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দেয় আটটি বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠন। তাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের প্রায় ২০০ কোটি টাকা বাকি আছে। এই টাকা না মেটালে পরবর্তীতে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা আর দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছে হাসপাতালগুলি। গত সপ্তাহেই পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে প্রথমে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। শুধু টাকা বাকি থাকার অভিযোগই নয়, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যে মূল্যে চিকিৎসার খরচ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হচ্ছে, সেই দরে এখন আর চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমস্ত চিকিৎসা সামগ্রীরই দাম বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে চিকিৎসার খরচ। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের এই চিঠিতে প্রশ্ন উঠছে বকেয়ার চাপ কি বাড়ছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে? প্রকল্পে বকেয়ার খেসারত কি দিতে হবে আমজনতাকে?
আরও পড়ুন : Kalna Municipality: ক্ষমা চাইলেন তপন পোড়েল, কি রয়েছে কালনার বহিষ্কৃত কাউন্সিলরের ভাগ্যে?