TAB: সুদর্শন, মিতভাষী! স্কুলের প্রধান শিক্ষকই নাকি করে বেড়াচ্ছিলেন এই ঘৃণ্য কাজ, উঠল ছিঃ ছিঃ রব
TAB: ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই তদন্তকারীরা মনে করছিলেন, এর মধ্যে কোথাও সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। কারণ স্কুলের ক্রেডেনশিয়াল বাইরে যাওয়ার কথাই নয়। আর সেই অনুমানই সত্যি প্রমাণিত হল।
![TAB: সুদর্শন, মিতভাষী! স্কুলের প্রধান শিক্ষকই নাকি করে বেড়াচ্ছিলেন এই ঘৃণ্য কাজ, উঠল ছিঃ ছিঃ রব TAB: সুদর্শন, মিতভাষী! স্কুলের প্রধান শিক্ষকই নাকি করে বেড়াচ্ছিলেন এই ঘৃণ্য কাজ, উঠল ছিঃ ছিঃ রব](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2025/01/Head-Master.jpg?w=1280)
কলকাতা: ট্যাব কেলেঙ্কারিতে জালে মাস্টারমাইন্ড। উত্তর দিনাজপুরের স্কুলের শিক্ষকই ট্যাব জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড। উত্তর দিনাজপুরের মাঝিয়ালি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মুবতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েল এই গোটা জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড বলে সিআইডি দাবি করছে। যখন পর পর ট্যাব কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসছিল, তখন দীর্ঘদিন তিনি ফেরার ছিলেন। নেপাল সীমান্তে গিয়ে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন।
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে একাধিক যুবককে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জেরা করে তখন মূল মাথাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন আধিকারিকরা। সে সময়েই পালিয়ে যান মুবতাজুল। সিআইডি গোপন সূত্রে খবর পায়, দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর মুফতাজুল ফেরত এসেছেন। উত্তর দিনাজপুরের কোটগাছি এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই তদন্তকারীরা মনে করছিলেন, এর মধ্যে কোথাও সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। কারণ স্কুলের ক্রেডেনশিয়াল বাইরে যাওয়ার কথাই নয়। আর সেই অনুমানই সত্যি প্রমাণিত হল। নিজের স্কুলের সাইটের পাসওয়ার্ড ও ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে প্রথমে এই জালিয়াতি শুরু করেন। পরে তিনি একটি নিজের টিমও তৈরি করেন। তাতে একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, এমনকি চুক্তিভিত্তিকভাবে নিযুক্ত এমন কয়েকজন, যাঁদের এই ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, তাঁদের নিযুক্ত করেন। গোটা ট্যাব জালিয়াতির চক্র চালাচ্ছিলেন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান জুয়েল অত্যন্ত মিতভাষী, আচরণও অত্যন্ত ভদ্র। তাঁর আচরণে কখনই স্কুলের কারোর কোনও সন্দেহ জাগেনি মনে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি চন্দন মাইতি বলেন, “অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু যে সকল প্রধান শিক্ষক এর সঙ্গে জড়িত নন, তাঁরা যেন শাস্তি না পান। কারণ সারা রাজ্যে ট্যাব জালিয়াতি হয়েছে। উনি ওনার স্কুলে জালিয়াতিতে যুক্ত থাকতে পারেন, সারা রাজ্যে কীভাবে? এর পিছনে চোপড়ার গ্যাং, বিহারের জামতাড়া গ্যাংও হতে পারে। কেবল একা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নয়।”