AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Thakurpukur: কালই ভাড়া আসেন, আজ ঠাকুরপুকুরের অভিজাত আবাসন থেকে মহিলার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার

Thakurpukur: স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, "দুপুরে বাড়িতে সবে খেতে বসেছি। তখনই শুনি বাইরে চিৎকার হচ্ছে। গিয়ে দেখি, এখানে মার্ডার হয়েছে। এখন এলাকা এত বড় হয়ে গিয়েছে, কে কোথায় ভাড়া আসছে, কোথায় যাচ্ছে, কিছু টেরই পাইনা। আগে তো এলাকায় সবাই সবাইকে নামেই চিনত।"

Thakurpukur: কালই ভাড়া আসেন, আজ ঠাকুরপুকুরের অভিজাত আবাসন থেকে মহিলার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে মহিলার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2025 | 4:10 PM
Share

কলকাতা: ভাড়া নিয়ে ঠাকুরপুকুরের অভিজাত এলাকায় এসেছিলেন মহিলা। ঠিক তার পরেরদিনই ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার গলার নলি কাটা দেহ। ঠাকুরপুুকুরের অভিজাত আবাসন ডায়মন্ড পার্কে খুন। গলার নলি কাটা অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বুধবারই ওই আবাসনে ভাড়া আসেন ওই মহিলা। যেহেতু এলাকায় নতুন, তাই তাঁর পরিচয় জানাতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। তবে বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। খুনের মোটিভ নিয়ে চরম ধোঁয়াশা।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, মহিলার বয়স বছর চৌত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হবে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার গায়ে একাধিক ধারাল অস্ত্রের কোপ রয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কার মারফত তিনি এই বাড়িতে ভাড়া এসেছেন, সেই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মহিলার পরিচয় জানলে, তবেই খুনের মোটিভ স্পষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মহিলা বাড়িতে একাই থাকতেন। কে প্রথম তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান, সেটা স্পষ্ট নয়। বাড়ির মালিকই প্রথম দেখে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “দুপুরে বাড়িতে সবে খেতে বসেছি। তখনই শুনি বাইরে চিৎকার হচ্ছে। গিয়ে দেখি, এখানে মার্ডার হয়েছে। এখন এলাকা এত বড় হয়ে গিয়েছে, কে কোথায় ভাড়া আসছে, কোথায় যাচ্ছে, কিছু টেরই পাইনা। আগে তো এলাকায় সবাই সবাইকে নামেই চিনত।”

যিনি এই মহিলাকে ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন, তিনি বললেন, “আমি আসলে এখানে লন্ড্রির কাজ করি। ১৭ তারিখ নিয়ে এসেছিলাম। আমার দোকানের সামনেই ওরা এসে জিজ্ঞাসা করছিল ঘর কোথাও খালি রয়েছে। আর বাড়ির মালিক সে সময়ে আমার দোকানেই ছিলেন। তিনি বলেন, আমার বাড়ি খালি রয়েছে। আমি তারপর যোগাযোগ করে দিই। মহিলা বলেছিলেন, আমার বর রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এসেছিলেন। আধার কার্ড তো দেখিয়েছিল। মহিলা বলেছিলেন ইএসআই হাসপাতালে আয়ার কাজ করি। মহিলার মাথার পিছন থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। মেঝেতেই পড়েছিল শরীর। বাড়ির মালিক দেখেই আমাকে ডেকে আনেন। কিন্তু স্বামী কোথাও যেন চলে গিয়েছেন।”