RG Kar: ‘লক্ষ্য হোক ভাল ডাক্তার হওয়ার, অধ্যক্ষ কে হবেন তা পড়ুয়াদের এক্তিয়ার নয়’
RG Kar Student Agitation: এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পরিষ্কার বলা হয়, অধ্যক্ষ পদে কে থাকবেন সেটা ছাত্র-ছাত্রীদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তাঁদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ভাল ডাক্তার হওয়ার। এখন আন্দোলনের কারণে তাঁরা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়বেন পড়ুয়ারা।
কলকাতা: বিগত তিন মাস ধরে আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়ারা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। স্টুডেন্টস কাউন্সিল এবং হাউজ় স্টাফ কাউন্সিলে স্বচ্ছতা সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু এখন সেই সব দাবি দাওয়াকে ছাপিয়ে গিয়ে আর জি করের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষকে অপসারণ না করা পর্যন্ত রিলে অনশনে বসেছেন হবু চিকিৎসকরা। আজ সেই রিলে অনশনের ১৬ তম দিন। কিন্তু এখনও জট কাটছে না আর জি করে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করল আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পরিষ্কার বলা হয়, অধ্যক্ষ পদে কে থাকবেন সেটা ছাত্র-ছাত্রীদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তাঁদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ভাল ডাক্তার হওয়ার। এখন আন্দোলনের কারণে তাঁরা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়বেন পড়ুয়ারা। তাই তাঁদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানায় আর জি কর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মেডিসিন, সার্জারি, অর্থোপেডিক পিজিটিরা ১০০ শতাংশ পিজিটি জয়েন করেছেন। এখন ৬৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। ২৫০০ জন বর্হিবিভাগে পরিষেবা নিয়েছেন। পাশাপাশি এমার্জেন্সি বিভাগে ১৬১ জন চিকিৎসা পেয়েছে বলে দাবি করা হয়। কর্তৃপক্ষের তরফে বিকাশ ঘোষ বলেন, ইন্ডোর পরিষেবায় অসুবিধার কথা কেউ বলেননি। ভর্তি হলে পরিষেবা পাওয়া নিয়ে যাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। স্ত্রীরোগ বিভাগের পিজিটিরা আজ অনেকে যোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, বুধবার থেকেই ১০০ শতাংশ পিজিটি যোগ দেবেন এবং আগামিকালের মধ্যে পরিষেবাও স্বাভাবিক হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা।
তিনি যোগ করেন, ‘বুধবার থেকে কোনও অভিযোগ থাকবে না, আমরা আশাবাদী।’ চিকৎসক সোমনাথ দাস বলেন, পড়ুয়াদের দাবি মানা হয়নি, এই অভিযোগও ঠিক নয়। সব মিলিয়ে জট কেটে যাবার আশাই করছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় রয়েছেন পড়ুয়ারা। এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে আর জি করের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, তাঁরা অচলাবস্থা কাটাতে আগ্রহী। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, আগে অনশন তুলতে হবে। কর্তৃপক্ষ কোনও কথা শুনতে নারাজ। তাঁরা শুধু অনশন তুলতে আগ্রহী। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সচিবকে জনসমক্ষে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন অনশনরত পড়ুয়ারা। এখন দেখার কোন সমাধানের রাস্তা কোন পথে এবং কত তাড়াতাড়ি হয়। অপেক্ষায় রোগী ও রোগী আত্মীয়রাও। উল্লেখ্য, এদিনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তিয়াত্তর বছর বয়সী হেমন্ত সানাকে পরিষেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। দু’সপ্তাহ ধরে বক্ষ বিভাগে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরিষেবা নেই। বাধ্য হয়ে ছেলে বাবাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। এমন অমানবিকতা খাস কলকাতার মেডিকেল কলেজে কী ভাবে ঘটছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।
আরও পড়ুন: Duare Ration : ‘দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন’, অসন্তোষ আরও বাড়ছে ডিলারদের মধ্যে