Bengal BJP: হুট করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেলে? আগেভাগেই ক্যাভিয়েট দাখিল বিজেপির

Shrabanti Saha | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 24, 2023 | 2:36 PM

BJP: আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে বিজেপির সভা। সেই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই সভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দল। তবে প্রথম থেকেই সভাস্থল নিয়ে আইনি জটিলতা চলছে। রাজ্য এই জায়গায় সভা করতে দিতে চায় না। তাদের যুক্তি, এরকম জায়গায় সভা করলে তীব্র যানজট হবে।

Bengal BJP: হুট করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেলে? আগেভাগেই ক্যাভিয়েট দাখিল বিজেপির
ক্যাভিয়েট দাখিল বিজেপির।
Image Credit source: TV9Bangla

Follow Us

কলকাতা: ধর্মতলার সভা সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল হল এবার। ক্যাভিয়েট দাখিল করল বিজেপি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় এই মামলার। ডিভিশন বেঞ্চ ধাক্কা খায় রাজ্য। আদালত জানিয়ে দেয়, ধর্মতলাতেই সভা করতে পারবে বিজেপি। এদিকে এই নির্দেশ আসার পর রাজ্যের কাছে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও দরজা যেহেতু খোলা আছে, এবার সেই সুপ্রিম-দুয়ারেই বিজেপি। আগেভাগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করল তারা। রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেলে যাতে একতরফা শুনানি না হয়, তা আটকাতেই এই ক্যাভিয়েট দাখিল।

আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে বিজেপির সভা। সেই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই সভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দল। তবে প্রথম থেকেই সভাস্থল নিয়ে আইনি জটিলতা চলছে। রাজ্য এই জায়গায় সভা করতে দিতে চায় না। তাদের যুক্তি, এরকম জায়গায় সভা করলে তীব্র যানজট হবে।

যদিও বিজেপি এ নিয়ে আদালতে যায়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ সভায় শর্তসাপেক্ষে সম্মতিও দেয়। তবে বিচারপতির মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকেই মান্যতা দেয়। কিন্তু এরপরও বিজেপি কোনওভাবেই ঢিলেঢালা মানসিকতা রাখতে নারাজ।

তাই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ আসার পরই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েটও দাখিল করে ফেলেছে তারা। যদি রাজ্য সরকার এই মামলায় পরে সুপ্রিম কোর্টে যায়, তাহলে বিজেপিকে পার্টি করেই এগোতে হবে, নোটিস দিতে হবে বিজেপিকে। অর্থাৎ ওই মামলায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পাবে বিজেপি।

যদিও তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “আদালতের নির্দেশ নিয়ে কিছু বলব না। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা মানেই সেখানে বিশৃঙ্খলা। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার কথাটা আমরা কিন্তু মনে রেখেছি। নমুনা আরও আছে। তাই বিজেপি যদি তাদের কর্মসূচির নামে কোনও অশান্তির চেষ্টা করে প্রশাসনও চুপ করে বসে থাকবে না।”

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধান বিচারপতির নির্দেশ ঐতিহাসিক, রাজ্যের দুই গালে থাপ্পড় পড়ার মতো। আমি আগেই বলেছিলাম, রাজ্য সরকার জোর খাটিয়ে বিজেপির কর্মসূচি বন্ধ করার চেষ্টা করছে। কোর্টে মুখ পোড়ারই ছিল।”

Next Article