Ratna Chatterjee: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সৎমা বানিয়েছেন, অভিষেককে…’, শোভন নিয়ে বিস্ফোরক রত্না
Sovan Chatterjee: রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, শোভনের ঘরওয়াপসি নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। শোভন চলে যাওয়াতেই তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতেও আসতে হয় বলে জানান রত্না। তবে একইসঙ্গে পুরনো কথাও তুলে আনেন শোভন-পত্নী। তাঁর কথায়, এক সময় শোভন-বৈশাখী বলেছিলেন রত্নার সঙ্গে এক মঞ্চে রাজনীতি করবেন না।
কলকাতা: কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা যখন তুঙ্গে। তখন এই নিয়ে মুখ খুললেন শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্য়ায়। শোভন-রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তাই খাতায় কলমে এখনও তাঁরা স্বামী স্ত্রী। ২১ জুলাইয়ের আগে শোভনের ‘ঘরওয়াপসি’ জল্পনা যখন জোরাল, বেহালা পূর্বের বিধায়ক তথা কলকাতার ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্নার বক্তব্য, “ওনাকে কেউ রাজনীতি ছেড়ে যেতে বাধ্য করেনি। উনি নিজের ইচ্ছায় গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সৎমা বানিয়েছেন, অভিষেককে সোনার গোপাল বানিয়েছেন বিজেপিতে যাওয়ার পর। তারপর আবার যদি ওনার মনে হয় তৃণমূল ওনার নিজের পরিবার, সৎ মা আবার মা হয়ে গিয়েছে, সোনার গোপাল অভিষেক এখন আবার ম্যাচিওর হয়ে গিয়েছেন রাজনীতি করবেন।”
সম্প্রতি কুণাল ঘোষ ও অরূপ বিশ্বাস শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বলে খবর সামনে আসে। এরপর থেকে জল্পনা শুরু হয়, তবে কি আবারও শোভন শিকড়ের টান অনুভব করছেন? টিভিনাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে খোলামেলাভাবেই শোভন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও সিদ্ধান্ত নিলে, নির্দেশ দিলে, তা অমান্য করার ক্ষমতা তাঁর নেই। এমনও বলেন, ২১ জুলাইয়ের জন্য তাঁর মন কাঁদে। পরিস্থিতি তেমন হলে চলেও যেতে পারেন সেখানে।
তবে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, শোভনের ঘরওয়াপসি নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। শোভন চলে যাওয়াতেই তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতেও আসতে হয় বলে জানান রত্না। তবে একইসঙ্গে পুরনো কথাও তুলে আনেন শোভন-পত্নী। তাঁর কথায়, এক সময় শোভন-বৈশাখী বলেছিলেন রত্নার সঙ্গে এক মঞ্চে রাজনীতি করবেন না।
রত্নার কথায়, “এখন যদি মনে হয় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এর মঞ্চ শেয়ার করা যায়, তাহলে আসবেন। রাজনীতি আমি তো ছাড়ছি না। বৈশাখীদেবীকে নিয়ে বিজেপিতে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কী হাল হয়েছিল, উনি খুব ভাল করে জানেন।” রত্নার পরামর্শ, তৃণমূল করতে শোভন যদি একা আসেন, তবেই শোভনের রাজনীতিটা করা হবে। রত্নার সংযোজন, “যদিও শোভনবাবু যেখানে যাবেন বৈশাখীদেবী পিছনে গিয়ে বসে পড়বেন। আমি তো মানব না। আমার পক্ষে মানা সম্ভব নয়। উনি রাজনীতির র বোঝেন না। রাজনীতিতে ওনার কোনও অবদানও নেই।”
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “ওনার কথা এতটা প্রাসঙ্গিক নয় যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারি। সুস্থ রুচি সম্পন্ন মানুষের কথা হলে প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায়। ওনার কথার উত্তর দিতে যেখানে আমাকে নামতে হবে, আমি নামতে রাজি নই। উনি আমার সম্পর্কে যাই বলুন, আমি এটুকু বুঝতে পারছি শোভন রাজনীতিতে এলে উনি ওনার প্রাসঙ্গিকতা হারাতে পারেন ভেবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এসব বলছেন।”