নিষ্ঠুর নিয়তিরই হাতছানি! বাড়ির পথে রওনা দিয়েও ফের অগ্নিকুণ্ডের পথে ছুটলেন সুদীপ

Strand Road Fire: মঙ্গলবার সকালে হেয়ার স্ট্রিট থানায় যান সুদীপবাবুর ছেলে। ইতিমধ্যেই তাঁকে একটি মৃতদেহ দেখানো হয়েছে। কিন্তু তা দেখে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এখন ডিএনএ টেস্টই ভরসা।

নিষ্ঠুর নিয়তিরই হাতছানি! বাড়ির পথে রওনা দিয়েও ফের অগ্নিকুণ্ডের পথে ছুটলেন সুদীপ
দেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্টের দাবি।
Follow Us:
| Updated on: Mar 09, 2021 | 3:45 PM

কলকাতা: এ শহর স্টিফেন কোর্টের অগ্নিকাণ্ড (Fire) দেখেছে। সূর্য সেন মার্কেটের আগুন দেখেছে। যে কোনও মৃত্যুই চরম যন্ত্রণার। কিন্তু এমন ভয়াবহতা! লিফটে আটকে ঝলসে মুহূর্তে শেষ ন’টা প্রাণ! সোমবার কলকাতা সাক্ষী রইল সেই ঘটনার। ভয়াবহতা এখানেই শেষ নয়। এমনভাবে দেহগুলি পুড়েছে বাড়ির লোক শনাক্তই করতে পারছেন না। একটি দেহ তো চিনতে ডিএনএ টেস্টের দাবি উঠেছে। মৃত্যু যে কতটা নৃশংস এদিন তা বুঝল শহর।

আরও পড়ুন: স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ড: শোক প্রকাশ মোদীর, নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা

খোঁজ নেই সুদীপ দাসের। রেলের সিগন্যাল ও টেলিকমে কাজ করেন তিনি। সোমবার অফিস ছুটির পর বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝ রাস্তায় খবর পান, অফিসে আগুন লেগেছে। কী জানি কী ভেবেছিলেন! নিষ্ঠুর নিয়তিই হাতছানি দিয়েছিল কি না! আবারও ফিরে যান স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে। এরপর তাঁর সঙ্গে পরিবারের লোকজন আর যোগাযোগ করতে পারেননি। বহু রাত অবধি চলে পরিচিতদের ফোনাফোনি।

আর ঘরে থাকতে পারেননি সুদীপবাবুর ছেলে। রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। গিয়ে দেখেন, বাবার বাইকটা পড়ে রয়েছে। এরপরই পরিবার ছোটে এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতালের তরফে একটি দেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু দেহটি এমন ভাবে পুড়েছে, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: এমন ভয়াবহ আগুন লাগার পরও কেন লিফট পরিষেবা সচল রইল, প্রশ্ন প্রাক্তন দমকল কর্তাদের

মঙ্গলবার সকালে হেয়ার স্ট্রিট থানায় যান সুদীপবাবুর ছেলে। তাঁর কথায়, যে দেহ দেখানো হয়েছে তা চেনা যাচ্ছে না। এখন ডিএনএ টেস্টই একমাত্র ভরসা। পুলিশও জানিয়েছে, ডিএনএ টেস্ট করেই শনাক্ত করতে হবে দেহটি। কে জানে, সুদীপবাবুর পরিবারের মনের কোণে এখনও হয়তো কোথাও আশার আলোটা টিম টিম করছে।