এমন ভয়াবহ আগুন লাগার পরও কেন লিফট পরিষেবা সচল রইল, প্রশ্ন প্রাক্তন দমকল কর্তাদের

Strand Road Fire: প্রশিক্ষিত দমকলকর্মীরা পরিস্থিতি জেনেও কী করে ওই অবস্থায় লিফট ব্যবহার করলেন? কোথাও কি সমন্বয়ের অভাব ছিল?

এমন ভয়াবহ আগুন লাগার পরও কেন লিফট পরিষেবা সচল রইল, প্রশ্ন প্রাক্তন দমকল কর্তাদের
ভয়াবহ আগুন রেলের অফিসে।
Follow Us:
| Updated on: Mar 09, 2021 | 3:46 PM

কলকাতা: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire) স্ট্র্যান্ড রোডের (Strand Road) বহুতলে। লিফটেই জীবন্ত দগ্ধ ৯ জন। কী ভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে সোমবার রাতেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলমন্ত্রক। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছবেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ফরেন্সিক টিমও যাবে সকাল ১০টা নাগাদ।

ফরেন্সিক টিমের প্রবেশে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই সেখানে চলছে কুলিংয়ের কাজ। মঙ্গলবার ভোরের দিকেও এই বহুতল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে। কোনওরকম পকেট ফায়ার রয়েছে কি না বারবার সেদিকটাই খতিয়ে দেখছেন দমকলের কর্মীরা।

আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, স্বজনহারাদের পাশে রাজ্য, উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ রেলের

কিন্তু রেলের অফিসে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন দমকলের প্রাক্তন অফিসাররা। প্রথমেই যে প্রশ্ন তাঁদের মনে উঁকি দিচ্ছে, অফিস, বাড়ি বা যে কোনও জায়গায় আগুন লাগলেই আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া নিয়ম। কিন্তু এখানে তেমনটা কেন হল না। তাঁদের কথায়, লিফট যখন চলছিল তার মানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি।

একইসঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, প্রশিক্ষিত দমকলকর্মীরা পরিস্থিতি জেনেও কী করে ওই অবস্থায় লিফট ব্যবহার করলেন? কোথাও কি সমন্বয়ের অভাব ছিল? দমকলকর্মীরা কি ফায়ার স্যুট ব্যবহার করেননি? প্রাক্তন দমকল আধিকারিকরা বলছেন, এরকম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে দমকলের বিশেষ থার্মাল গান রয়েছে, যা দিয়ে তাপমাত্রা মেপে আগুনের ভয়াবহতা বুঝে নেন কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হয়েছিল কি না প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ড: শোক প্রকাশ মোদীর, নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা

প্রাক্তন দমকল কর্তা বিভাস গুহ জানান, “আমরা যখন চাকরি পেয়েছিলাম আমাদের একটা প্রশিক্ষণ হয়। আগে ৬ মাসের ছিল। এখন সেটা তিন মাসের। সেখানে শেখানো হয়, কোথাও আগুন লাগলে আগে জানতে হবে জায়গাটি কী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কী কী জিনিস ভিতরে থাকতে পারে তার একটা অনুমান করা যায়। দমকলের প্রথম কাজই হল স্থানীয় সিইএসসিকে জানিয়ে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। লিফট কোনওভাবেই ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আমার এত খারাপ লাগছে গিরিশের কথা ভেবে। ও যে কেন লিফটে গেল, ভুলটা করল আমি বুঝতে পারছি না। সেখানে সিনিয়র যারা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করেছিলেন কি না বলতে পারব না। দমকলে আমার জীবনে এরকম ঘটনা কখনও দেখিনি।” প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে লিফটে ঝলসে মৃত ন’জনের মধ্যে রয়েছেন লালবাজার ফায়ার স্টেশনের সাব অফিসার গিরিশ দে’র নামও।