TMC Shankar Adhya: শ্বশুরবাড়িতে হাজির ED, নজরে এবার দাপুটে নেতা শঙ্কর ওরফে ‘ডাকু’
TMC Shankar Adhya: শঙ্কর আঢ্যর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও কাউন্সিলর ছিলেন। রাজনীতির সূত্রে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁদের বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে শোনা যায়। কিছুদিন আগেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে যান তৃণমূল নেতা। নিজে যাওয়ার বদলে পাঠিয়ে দেন কিছু নথিপত্র।
বনগাঁ: কাকভোরে যেভাবে অভিযান শুরু করেছে ইডি, তাতে স্পষ্ট যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তদন্তেই চলছে এই তল্লাশি। দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতার একাধিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। এদিন সকালে প্রথমে বনগাঁয় যাঁর বাড়িতে পৌঁছয় ইডি, তাঁর নাম বিনয় ঘোষ। খোঁজ খবর করতেই জানা যায়, এই ব্যক্তির জামাইয়ের নাম শঙ্কর আঢ্য। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তথা এলাকায় তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে শঙ্করকে ‘ডাকু’ নামে চেনে সবাই। তাঁর খোঁজেই এই তল্লাশি বলে সূত্রের খবর। তবে বিনয় ঘোষের বাড়িতে শঙ্কর আছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্রের খবর, শঙ্করের নামে রয়েছে একাধিক সংস্থা। সেগুলিই এবার চলে এসেছে ইডি-র নজরে। শঙ্কর এবং তাঁর পরিবার একাধিক বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলেও খবর রয়েছে ইডি-র কাছে। অর্থলগ্নি সংস্থা রয়েছ বলেও সূত্রের খবর। শঙ্করের স্ত্রী, ছেলে এবং একাধিক আত্মীয় এই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বলেও জানা যায়। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার আড়ালে কি কোনও আর্থিক বেনিয়ম ঘটেছে? সেই খোঁজই চালাচ্ছে ইডি। তবে এই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে রেশন বা শিক্ষা দুর্নীতির যোগ আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, শঙ্কর আঢ্যর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও কাউন্সিলর ছিলেন। রাজনীতির সূত্রে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁদের বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে শোনা যায়। কিছুদিন আগেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে যান তৃণমূল নেতা। নিজে যাওয়ার বদলে পাঠিয়ে দেন কিছু নথিপত্র।
একসময় প্রবল দাপট থাকলেও ২০২১-এ বনগাঁ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল হেরে যাওয়ার দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল শঙ্কর আঢ্যকে। এরপর তিনি গত বছর আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন তিনি। জেলার অ্যাডভাইজরি কমিটিতে তাঁকে জায়গা দেয় তৃণূল।