Bhabanipur By-Election: ‘বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান,’ লাল জমা পরে সিপিএম ক্যাম্পে গিয়ে বিশ্রাম মদনের
Madan Mitra in Bhabanipur: সিপিএমের ক্যাম্পে বসে মদনের কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা এটা। কী আছে! সবাই একই পাড়ার ছেলেপুলে।'' তার পর সিপিএম ক্যাম্পের বেঞ্চে বসে ছাতার দিকে ইঙ্গিত করে মদন বলেন, 'সুন্দর ছাতা লাগিয়েছে, ছায়া আছে। সবাই বসলাম একটু।'
ভবানীপুর: রাজনৈতিক বিভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে সিপিএমের (CPIM) ক্যাম্পে গিয়ে জিরিয়ে নিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। এদিন গায়ে লাল জমা, চোখে ব্রাউন সানগ্লাসে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মদনের মন্তব্য, “ভবানীপুর মানে হচ্ছে, নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। এটা ভবানীপুর, গুজরাত নয়।” অন্যদিকে সিপিএম ক্যাম্পে গিয়ে এদিন চা পান করতে দেখা গিয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও।
সিপিএমের ক্যাম্পে বসে মদনের কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা এটা। কী আছে! সবাই একই পাড়ার ছেলেপুলে।” তার পর সিপিএম ক্যাম্পের বেঞ্চে বসে ছাতার দিকে ইঙ্গিত করে মদন বলেন, ‘সুন্দর ছাতা লাগিয়েছে, ছায়া আছে। সবাই বসলাম একটু।’ সৌজন্যের বার্তা দিয়েও এদিন গন্ডগোলের কথা মানতে চাননি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর দাবি, কোনও সমস্যা হয়নি। আর টুকটাক ঝামেলা বন্ধের দায়িত্ব তো পুলিশ প্রশাসনের।
ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সবথেকে বেশি প্রচার করতে দেখা গিয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। অন্যদিকে মমতার স্নেহের মদন ভবানীপুরে তাঁর নেত্রীর নামে দেওয়ালও লিখেছেন। প্রচার ময়দানে দুই নেতাই এদিন যান সিপিএমের ক্যাম্পে জিরিয়ে নিতে। ভোটের দিন চেতলার সিপিএম ক্যাম্পে বসে তাঁর ভাঁড়ে চা পান করেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদকে বলতে শোনা যায়, ‘চায়ে চিনি দিয়েছ তো?’ অন্যদিকে ক্যাম্পে উপস্থিত সিপিএম নেতা বলেন, আমাদের রাজনীতির সম্পর্ক ছাড়াও অন্যরকম সম্পর্ক আছে। এই নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পাড়ার ছেলে, আমাদের মধ্যে অন্য সম্পৰ্ক আছে।’
বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (Bhawanipore By-Election)। মোট ৮টি ওয়ার্ডের ভবানীপুর কেন্দ্রে এদিন নজর গোটা রাজ্যের। শুধু রাজ্যই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও এই এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন যে একটা আলাদা তাৎপর্যের দাবিদার, তা বলাই বাহুল্য। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিজেপির (BJP) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বামেদের (CPIM) মুখ শ্রীজীব বিশ্বাস। তিন প্রার্থীই ভোটের প্রচারে ঝড় তুলেছেন। ভোটের দিন হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে গন্ডগোল এড়ানো যায়নি। খালসা হাইস্কুলে ভুয়ো ভোটার ঘিরে তুমুল গোলমাল বাধে। বিজেপির অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি।
এদিকে মদনের বিরুদ্ধে সকালেই বুথ জ্যাম করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মদন মিত্র। শুধু এখানেই থেমে নেই বিতর্ক। সকালে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর ভোট চেয়ে টুইট ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতা তথা একুশের ভোটে ভবানীপুরের প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের অভিযোগ, “পশ্চিমবঙ্গের শাসন ব্যবস্থাকে তাঁরা (তৃণমূল নেতৃত্ব) যে নিজেদের বলেই মনে করেন এবং তাঁরা যে কোনও কিছুর তোয়াক্কা করেন না, এটা তারই প্রমাণ। বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা ঘুরছেন, প্রচার করছেন, যাঁরা ভোট দিতে যাচ্ছেন কথা বলছেন। তাঁরা টুইটে ভোটও চাইছেন। এটা ভয়ঙ্কর একটা ঘটনা।’ এদিকে সুব্রত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল হ্যাক হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Bhawanipore By-Election: ফিরহাদ-সুব্রত ভোটারদের প্রভাবিত করছেন, ‘রুদ্রবাণ’ রুদ্রনীলের