কলকাতা : জোর বিতর্ক চলছে মহুয়া মৈত্রের কালী-মন্তব্যকে ঘিরে। সোমবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে কালীর শাক্ত আচারে পুজো সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনিই। জায়গায় জায়গায় মহুয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, ১০ দিনের মধ্যে পুলিশ এফআইআর কার্যকর না করলে, পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ হাইকোর্টে যাবেন। চুপ করে বসে নেই মহুয়া মৈত্রও। নিজেকে ‘কালী উপাসক’ বলেও দাবি করেছেন সাংসদ। আর এবার মানিকতলার রথযাত্রার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নাচলেনও মহুয়া মৈত্র। গলায় মালা পরে বাকিদের সঙ্গে হাতে হাত ধরে কীর্ত্তনের তালে তালে নাচলেন, সেই নাচের ভিডিয়ো আবার শেয়ারও করলেন নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে।
ফেসবুকে ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে মহুয়া লিখেছেন, “আজ মানিকতলায় রথযাত্রা মহোৎসবে অংশগ্রহণ করলাম।” এরপর আবার হোয়াটসঅ্যাপেও সেই অনুষ্ঠানের ছবি নিজের প্রোফাইল ফোটোয় রেখেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। উৎসবের উদ্য়োক্তাদের সঙ্গে হাসিমুখে গলায় ফুলের মালা পরে একটি ছবি প্রোফাইল ফোটো করেন তিনি। কপালে আবার তিলকও রয়েছে মহুয়ার। উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধেয় নিজের হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইল ফোটোয় মা কালীর একটি ছবি বসিয়ে দিয়েছিলেন সাংসদ। সেই ছবি কয়েক ঘণ্টা থাকার পরই আবার তা বদলে মানিকতলার অনুষ্ঠানে গিয়ে কপালে তিলক কাটা ছবিটি রাখেন প্রোফাইল ফোটোয়।
উল্লেখ্য, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে বুধবার জেলায় জেলায় বিজেপি নেতারা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এদিকে তৃণমূলের তরফেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সোমবার মহুয়া মৈত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। এমনকী টুইটে ওই মন্তব্যের নিন্দাও করেছিল তৃণমূল। অর্থাৎ, মহুয়ার ওই মন্তব্যে পাশে নেই দলও। এমন পরিস্থিতিতে দলের পাশে না থাকা এবং তার উপর বিজেপির ক্রমাগত চাপের মধ্যে মহুয়া টুইটে লিখেছিলেন, “আমি কালীর উপাসনা করি। আমি কোনও কিছুর ভয় পাই না… সত্যের জন্য পিছন থেকে কারও সমর্থনের প্রয়োজন নেই।”