AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata Mondal: কেষ্ট এখন ‘ছোট বিষয়’! একদা ‘বাঘের’ প্রয়োজন ফুরল তৃণমূলের? কী বলছেন রাজনীতির কারবারিরা

Anubrata Mondal: শশী পাঁজা মনে করিয়ে দিয়েছেন, 'মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে, আর একজন জেলা সভাপতি তো ছোট বিষয়।' 

Anubrata Mondal: কেষ্ট এখন 'ছোট বিষয়'! একদা 'বাঘের' প্রয়োজন ফুরল তৃণমূলের? কী বলছেন রাজনীতির কারবারিরা
তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 12:18 AM
Share

কলকাতা : কেউ বলেছিলেন ‘বাঘ’, কেউ বলেছিলেন ‘বীর’, আর সেই অনুব্রত মণ্ডল আজ এক লহমায় তৃণমূলের কাছে হয়ে গেল ‘ছোট বিষয়’! তিহাড় যাত্রার পর কি তৃণমূল অনুব্রতর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে? নাকি  দিল্লির জেলে বন্দি নেতা গুরুত্ব হারাল শাসক দলের কাছে? কেউ কেউ বলছেন, অঙ্কটা অতটাও সহজ নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতার সঙ্গে দূরত্ব শুধুই মানুষ বিভ্রান্ত করার জন্যও হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিরোধীদের একাংশ। মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশে তিহাড় জেলে ঠাঁই হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। আর তারপরই রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে, আর একজন জেলা সভাপতি তো ছোট বিষয়।’

একদিকে যেমন তৃণমূলকে কখনও কেষ্টর মাথা থেকে হাত সরাতে দেখা যায়নি, ঠিক তেমনই দলের ওপরও অগাধ ভরসা রয়েছে অনুব্রতর। সূত্রের খবর, তিনি নাকি ইডি-কেও জেরায় বলেছেন,  ‘আমার কিচ্ছু হবে না। আমার পিছনে দল আছে। আপনারা আমার কিছুই করতে পারবেন না।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, গরু পাচার মামলার অভিযুক্তের মুখে এমন কথা অস্বস্তিতে ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরকে। এক্ষেত্রে অনুব্রতর প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। সে কারণেই কি এবার কৌশলি পথে হাঁটছে তৃণমূল? শাসক দলের এই অবস্থান কোন চোখে দেখছেন বিরোধীরা?

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের সাফ জবাব, ‘তৃণমূল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।’ তাঁর কথায়, ‘অনুব্রতরই তৃণমূল আর তৃণমূলেরই অনুব্রত।’ একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তৃণমূল পার্থর সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করতে পারেনি। বিজেপি নেতার দাবি, একই ভাবে তৃণমূল কখনও অনুব্রতকে ছাড়তে পারবে না, অনুব্রতও কখনও তৃণমূলকে ছেড়ে যাবে না।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অবশ্য মনে করছেন, হয়ত অনুব্রতর প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে তৃণমূলে। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে বহাল থাকলে গত প্রায় ৮ মাস ধরে জেলবন্দি অনুব্রত। কেষ্টকে না সরিয়ে জেলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান বাম নেতা বলেন, ‘অনুব্রতর কাছ থেকে আর কিছু পাওয়ার নেই। তাই হয়ত অনুব্রতর সময় শেষ হয়ে এসেছে। তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘খুঁটিটা যে ক্রমশ নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে পেরেই এবার ভিন্ন সুরে কথা বলছেন তৃণমূল নেতারা।’

অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের দাবি, দুর্নীতির চক্রে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে শাসক দল, যা থেকে বেরনোর উপায় না দেখতে পেয়েই এসব বলছে তারা। কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘ওরা বুঝতে পারছে না কীভাবে বেরিয়ে আসবে। তাই এখন ভিন্ন কথা বলছে। ওদের পক্ষে এখন এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসা মুশকিল। বুঝতে পারছে না বলেই এই ধরনের কথা বলছেন ওদের মন্ত্রীরা। তবে যে মন্ত্রীর কথা বলছেন ওঁরা, তাঁর বিরুদ্ধে সাসপেনশনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। বহিষ্কার করা হয়নি কিন্তু।’

উল্লেখ্য, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দল কাউকে আড়াল করবে না। কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের নিন্দা করলেও অনুব্রতর প্রতি সমর্থন সূচক কোনও বার্থা পাওয়া যায়নি কুণালের কাছ থেকেও।