Kunal Ghosh: ‘সব পাপ সিপিএম জমানা থেকে শুরু’, উদাহরণ টেনে বামেদের ‘সাধু’ না সাজার পরামর্শ কুণালের
Kunal Ghosh: তৃণমূল মুখপাত্রর বক্তব্য, 'আমরা অপরাধ সাপোর্ট করি না। কিন্তু সিপিএম যেন সাধু না সাজে। সব পাপ সিপিএম এর জমানা থেকে শুরু হয়েছে। ওরা ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছে।'
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে। যে অভিযোগগুলি উঠে আসছে, তার সিংহভাগই তৃণমূল আমলের। যা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসকের। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের বার বার বোঝাতে হচ্ছে,দুর্নীতিকে কোনওভাবেই দল বরদাস্ত করে না। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে কড়া পদক্ষেপ করতেও পিছপা হচ্ছে না শাসক শিবির। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আগেই সব পদ থেকে সরানো হয়েছে। সম্প্রতি আবার কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। একইসঙ্গে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, নিয়োগে দুর্নীতি বা বেনিয়মের অভিযোগ শুধু তৃণমূল আমলেই নয়, অতীতে বাম আমল থেকে এর সূত্রপাত। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে সেটাই আবারও স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বেশ কিছু পদক্ষেপ যে কেবল তৃণমূলকে ইঙ্গিত করার জন্য, তাও বুঝিয়ে দেন তিনি। এমনকী আদালতেও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যে ভাষা ব্যবহার করছে, তা বিজেপির ভাষা বলে অভিযোগ কুণালের।
কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একযোগে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস হাতে হাতে মিলিয়ে কুৎসা করছে।’ অতীতে বাম আমলেও যে নিয়োগ ক্ষেত্রে র্যাঙ্ক জাম্প হয়েছিল এবং কারচুপি হয়েছিল, এমন উদাহরণও টেনে আনেন তৃণমূল মুখপাত্র। বললেন, ‘১৯৯২ সালে আশিস পাল নামে এক ব্যক্তি র্যাঙ্ক জাম্পিং-এর শিকার হয়েছিলেন। তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালে এসে তিনি মামলা জেতেন এবং ৫৫ বছর বয়সে চাকরি পান।’ আরও একটি উদাহরণ টেনে আনেন কুণাল, ‘ সাবেরা খাতুন ২০০৯ সালে কারচুপির শিকার হয়েছিল। আরটিআই করলে, কলেজ সার্ভিস কমিশনও তাঁকে ভুল তথ্য দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে তিনি চাকরি পান।’
সিপিএম-এর বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দুটি ক্ষেত্রেই আদালতের হস্তক্ষেপে প্রমাণিত হয়েছিল সিপিএম আমলে কলেজ সার্ভিস কমিশন অন্যায় কাজ করেছে। জীবনের অনেকগুলি বছর নষ্ট হওয়ার পর অভিযোগকারীরা চাকরি পেয়েছিলেন।’ তৃণমূল মুখপাত্রর আরও বক্তব্য, ‘আমরা অপরাধ সাপোর্ট করি না। কিন্তু সিপিএম যেন সাধু না সাজে। সব পাপ সিপিএম এর জমানা থেকে শুরু হয়েছে। ওরা ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছে। আমাদের পার্টি দোষীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। সব চিরকুট লোপাট করেছে। পাপ চাপা থাকবে না।’
কুণাল ঘোষের খোঁচার পাল্টা দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর বক্তব্য, ‘শাসক শিবির বলছে ১৯৯০ থেকে যারা যারা স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, তাদের নামের তালিকা উনি প্রকাশ করবেন। আমরা তো বলেছি প্রকাশ করতে। শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন হিম্মত থাকলে। শ্বেতপত্র প্রকাশ করলে দেখবেন ২০১১ সালের আগে নিয়োগে ছিল স্বচ্ছতা, আর ২০১১ সালের পরের চাকরি মানেই লুঠ।’