South Calcutta Law College: দাদাগিরির প্রতিবাদ, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের পড়ুয়াকে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা
South Calcutta Law College:আশিক এবং সতীর্থদের অভিযোগ, মনোজিৎ মিশ্রা বেশ কয়েক বছর আগে কলেজ থেকে পাস আউট করেছে। গত বছর কলেজে ক্যাসুয়াল স্টাফ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে। অভিযোগ,কলেজে প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য এর আগেও আশিককে মারধর করা হয়।
কলকাতা: কখনও র্যাগিং, কখনও বা দাদাগিরির অভিযোগ। প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মারধর পড়ুয়াকে। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই প্রাক্তনী। ঘটনাটি সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের।
জানা গিয়েছে, আশিক ইকবাল সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যেয় তাঁকে ফোন করে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠান কলেজের প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্রা। বর্তমানে ওই ব্যক্তি কলেজের ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসাবে কাজ করেন।
আশিকের অভিযোগ,দেখা করতে যাওয়ার পর তাঁকে বাইকে বসিয়ে ফাঁকা রাস্তায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায়। হঠাৎই আরও বেশ কয়েকজন চড়াও হয় তাঁর উপর। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে তিনি। এরপর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। আশিক বলেন, “ও হচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দক্ষিণ কলকাতা অরগানাইজেশনের সেক্রেটারি। এক্স স্টুডেন্ট। ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসাবে যোগ দিয়েছে। ও এর আগেও পড়ুয়াদের মেরেছে। যারাই ওর বিরুদ্ধে মুখ খোলে এমন অবস্থা হয়।”
আশিক এবং সতীর্থদের অভিযোগ, মনোজিৎ মিশ্রা বেশ কয়েক বছর আগে কলেজ থেকে পাস আউট করেছে। গত বছর কলেজে ক্যাসুয়াল স্টাফ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে। অভিযোগ,কলেজে প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য এর আগেও আশিককে মারধর করা হয়।
চতুর্থ বর্ষের আর এক ছাত্রীর অভিযোগ, প্রাক্তনীদের র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তাকে এবং তার সহপাঠীদের মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কসবা থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এতটাই প্রভাবশালী মনোজিৎ মিশ্রা। অস্মী চক্রবর্তী বলেন, “মনোজিৎ মিষ্টি ভাষী মানুষ। রাজনীতি করে। দল চালায়। বিগত দুবছর ধরে এক্স স্টুডেন্টদের থাকা নিয়ে বিক্ষোভ করছি। অনেককে তাড়িয়েছি। কিন্তু মনোজিৎকে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসাবে রিক্রুট করা হয়। ওদের কথায় উঠতে হয়। বসতে হয়। সারাক্ষণ হুমকি দেয়। এমনকী এক সময় প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।”
তবে মনোজিৎ মিশ্রার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে,প্রথমেই তিনি গোটা ঘটনা অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তিনি জানান, “কেউ বা কারা আশিককে মিস লিড করছে। তাই তার সঙ্গে কথা বলার জন্য ডেকেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও আশিক দেখা করতে যায়নি।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)