AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shantanu Thakur: ‘প্রধানমন্ত্রীই একমাত্র মতুয়াদের নাগরিকত্ব দিতে সচেষ্ট, বাকিরা না’, কাদের দিকে ইঙ্গিত শান্তনু ঠাকুরের

Matua: বাম, তৃণমূল মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে কিছুই করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

Shantanu Thakur:  'প্রধানমন্ত্রীই একমাত্র মতুয়াদের নাগরিকত্ব দিতে সচেষ্ট, বাকিরা না', কাদের দিকে ইঙ্গিত শান্তনু ঠাকুরের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2022 | 3:36 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: যুগে যুগে মতুয়াদের ভোটের রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু মতুয়াদের প্রাপ্য জায়গা দেওয়া হয়নি। টিভি নাইন বাংলায় বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। শান্তনুর কথায়, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী বোঝেন মতুয়াদের, বাকিরা বোঝেন না। বাম, তৃণমূল মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে কিছুই করেনি বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে নাম না করে আরও একবার নিশানায় রাখেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকেও।

শান্তনু ঠাকুরের কথায়, “রাজ্য সরকার যখন ভোটার কার্ড করছে, রেশন কার্ড করছে তখন তাদের সেন্সাস রিপোর্টে তুলে কেন্দ্রের কাছে কেন পাঠাচ্ছে না? কেন বলছে না এই মানুষগুলো ভোটার। ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এই বিষয়টি। বামফ্রন্টের আমলেও একই জিনিস হয়েছে।” এরপরই শান্তনু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে চাইছেন। সবাই তো চাইছে না। কেন চাইবে? কেন এই সমাজকে তুলে ধরবে? একটা পিছিয়ে পড়া সমাজ কেন উঠবে? ভোট নিয়ে কাটিয়ে দেব, এটাই উদ্দেশ্য। এটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বামফ্রন্ট কী করেছে, তৃণমূল কী করল আমাদের সঙ্গে? ঠাকুবাড়িতে এসে বড়মার কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েও কিছু হল না।”

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, “ইদানিং শান্তনু ঠাকুর কখন কী বলছেন এটা অনেকেরই বোধগম্য হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কী বলেছেন তা যদি উনি নিজেও শোনেন তা হলে উনি নিজেও অবাক হতে পারেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে তৃণমূল খুবই শ্রদ্ধা করে। এই সম্প্রদায়ের মানুষ যথেষ্ট রাজনৈতিকভাবে সচেতন। যথেষ্ট সুশিক্ষিত, বুদ্ধিমান মানুষ রয়েছেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেক উপকার করা যায়। তার জন্য বিধায়ক, সাংসদ হতে হবে তার কোনও কারণ নেই। এগুলো হয়েও হওয়া যায়, না হয়েও হওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী ভাল, সকলে মন্দ এটা একটা দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই না। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আমাদের দলের, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর যে ভাবনাচিন্তা, শ্রদ্ধা রয়েছে তা সকলেই জানে। বড়মার আশীর্বাদ নিয়ে, ঠাকুরবাড়ির আশীর্বাদ নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য যা করেছেন সেগুলি নিশ্চয়ই শান্তনু ঠাকুর জানেন। সকলেই জানেন।”

কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, “শান্তনু ঠাকুর জানেন কী জানেন না জানি না। আমি দীর্ঘদিন হোম স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। সে সময় এই ইস্যুটা সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে এসেছিল। তখন ভারত সরকার খুব স্পষ্ট করে আমাদের কাছে জানিয়ে দিয়েছিল ধর্মীয় কারণে বা রিলিজিয়াস পারসিকিউশনের জন্য যারা ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। ভারতবর্ষের নাগরিকরা যে সুযোগ সুবিধা পান সবই তাঁরা পাবেন। এ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সরকারের নির্দেশের পরও আইন পরিবর্তন প্রয়োজন কি না।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এ নিয়ে বক্তব্য, “শান্তনু ঠাকুর আমাদের মাননীয় মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে এই মুহূর্তে আমার কোনও কথা হয়নি। তবে আগামিদিনে হয়ত কথা হতে পারে। ওনার যদি কোনও বিষয় থাকে, অবশ্যই সেটা আমরা দেখব। কী হয়নি, সেটা আলাদা বিষয়। কী হয়েছে সেটাও দেখতে হবে। আমি দেখতে পাচ্ছি বর্তমানে মতুয়া সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তিনি এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের মন্ত্রী।”

যদিও এর জবাবে শান্তনুর দাবি, “সমষ্টিগত জায়গাটা ভাবতে হবে। আমি তো আমার জন্য আন্দোলন করছি না। আমার পরিবারের যত লোক আছে এ যাবৎ কেউ নিজের জন্য আন্দোলন করেনি। আমাকে এই জায়গা দিতে হবে কেউ বলেনি। কেউ আমাকে জায়গা দিলে আমি অস্বীকার করব না।”

আরও পড়ুন: টিকা পেয়েছে ১৫ থেকে ১৮, শিক্ষা দফতর থেকে স্কুল খোলার প্রস্তাব গেল নবান্নে