Taha Siddique: ‘কে কী চেয়ারে বসবে, সেটা তো আমরা ঠিক করে দেব, আসল…’, সব বলে দিলেন ত্বহা সিদ্দিকী
Taha Siddique: কয়েকদিন আগে ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলেছিলেন, নওশাদ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা না শোনেন, তাহলে পীর সাহেবের পরিবারের কাউকে ভাঙড়ে দাঁড় করাবেন মমতা। এবার তিনি শুভেন্দু অধিকারী, হুমায়ুন কবীরের নাম নিয়ে বললেন, কে কী চেয়ারে বসবেন, তাঁরা ঠিক করবেন।

কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই রাজনীতির পারদ চড়ছে। ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলছেন, কে কী চেয়ারে বসবেন, সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নেবেন।
ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, “একটা জিনিস আমি বলি, শুভেন্দু অধিকারী কী করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন, অধীর চৌধুরী কী করছেন, এটা বাংলার মানুষ দেখবেন না। আমাদের যে কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে, তাঁদের একটা নির্দেশ দিচ্ছি, যারা মানুষের পাশে থাকবে, যারা উন্নয়ন করবে, যারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে, তাদের পাশে আমরা ছিলাম, থাকব।”
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নাম নিয়ে ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, “হুমায়ুন কবীর ও শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁরা কে কী বলছেন, তাঁদের ছেঁড়াছেঁড়ি করতে দিন। আসল মাল তো আমরা। ওরা দু’জনে কে কী চেয়ারে বসবে, সেটা তো আমরা ঠিক করে দেব। শেষে সিদ্ধান্ত আমরা নেব, কে চেয়ারে বসবে। আমরা ভাল মানুষ বেছে নেব।”
এই খবরটিও পড়ুন




শুধু শুভেন্দু, হুমায়ুনকে নিয়ে মন্তব্য নয়। গত কয়েকদিনে ত্বহা সিদ্দিকীর একের পর এক মন্তব্যে বিতর্ক বেধেছে। কয়েকদিন আগে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন ফুরফুরা শরিফে ইফতারে মমতার পাশে দেখা গিয়েছিল ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে। পরদিন পার্ক সার্কাসেও ইফতারে মমতার পাশে ছিলেন কাশেম। সেইসময় ত্বহা বলেছিলেন, “আমার মনে হচ্ছে নওশাদকে (ভাঙড়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে হবে। যা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই শুনতে হবে। আর যদি না শোনে আমার মনে হচ্ছে পীর সাহেব পরিবারের কোনও একজনকে ভাঙড়েই দাঁড় করাবেন উনি।” একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ফুরফুরা শরিফ নিয়ে বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে।
ত্বহা সিদ্দিকীর একের পর এক মন্তব্যকে যে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ফুরফুরার এই পীরজাদার নাম না নিয়েই তিনি বলেন, “বিজেপি, সিপিএম প্রতিদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা করছে। সেই দলগুলির সঙ্গে যারা গলা মেলাচ্ছে, তাদের মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার কোনও প্ৰয়োজনীয়তা নেই। বাংলার মানুষ সব দেখছে। সব জানে। তারা এগুলোর মূল্য দেয় বলে মনে হয় না।”





