Weather Updates: ছন্দে ফিরছে শীত, ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়বে ঠান্ডা, তবুও যাচ্ছে না উদ্বেগ…কী বলছে হাওয়া অফিস?
Kolkata: আপাতত, বেশ কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যাবে। দেখা মিলবে রোদেরও।
কলকাতা: ছুঁই ছুঁই করেও শীত এতদিন ধরা দেয়নি বঙ্গে। অবশেষে, ‘দুয়ারে শীত’ (winter)। রাজ্যজুড়ে ধীরে ধীরে অনুভূত হচ্ছে হিমেল আমেজ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু, তাও উদ্বেগ থাকছে। কারণ, চলতি মাসের ২০ তারিখের পর ফের বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া।
আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আপাতত, বেশ কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যাবে। দেখা মিলবে রোদেরও। মঙ্গলবার রাতে, আরও তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা। কলকাতায়, এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও নামতে পারে তাপমাত্রা এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ২১ তারিখ উপকূলের কাছাকাছি জেলা দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ২০ তারিখ পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রার কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। তবে বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে অর্থাৎ ঠান্ডা একটু কমবে। কলকাতার ক্ষেত্রেও রাতের তাপমাত্রা ২০ তারিখের পর থেকে বাড়বে। ফলে, ফের শীত-ছুট হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে মঙ্গলবার শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। ১৯ জানুয়ারি দার্জিলিং, কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হবে। ২০ জানুয়ারি উত্তরের পাঁচটি জেলা, দার্জিলিং,কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এই জায়গাগুলোয় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২১ তারিখে উত্তরবঙ্গের সব জায়গাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
মাঘের শুরুতেও শীতসঞ্চার (winter) হয়নি। বঙ্গে নকল ঠান্ডা ভোগ করেছেন সকলে। সে ঠান্ডা, ঝঞ্ঝাকালীন বৃষ্টির। কবে থেকে বঙ্গে প্রকৃত ঠান্ডা পড়বে? আবহবিদরা জানাচ্ছেন, তারজন্য আপাতত অপেক্ষা করতে হবে। তবে ২০ তারিখ পর্যন্ত শহরবাসী শীত ভালই অনুভব করতে পারবেন। শেষ কয়েকদিন ধরে রাতের তাপমাত্রা ছিল ১৮. ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৫ তারিখ রাতের তাপমাত্রা নামে ১৬. ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এই সময়ে স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। ১৬ জানুয়ারি বিকেলের পর থেকে ধীরে ধীরে কমে আসে বৃষ্টির প্রভাব।
গত শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। রবিবার থেকেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে।
জাঁকিয়ে শীতের দাপট বেশিদিন স্থায়ী হয়নি জানুয়ারির প্রথম দিকে। নেপথ্যে পরপর তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তাই পারদপতন হলেও সেই সুখ বেশিদিন পাননি বঙ্গবাসী। ৫ তারিখ থেকে আবার রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। তবে আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ১৩-১৪ তারিখ নাগাদ ফের তাপমাত্রা কমতে পারে। পূর্বাভাস মতোই তাপমাত্রা কমেছে দুই বঙ্গে। সাগরস্নানের দিন হাড়হিম শীত উপভোগ করেছেন বঙ্গবাসী। তবে বৃষ্টি থেকে মুক্তিও মেলেনি।
পরপর তিনটি ঝঞ্ঝার চাপে বাধা পেয়েছে উত্তুরে বাতাস। সঙ্গে বঙ্গোপাসাগরে তৈরি হওয়া প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প। এই দুয়ের মিশেলেই মূলত বঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, তিনটি ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের বিশেষ পার্থক্য না থাকায় পারদপতন যেমন স্তব্ধ তেমনই, বৃষ্টির ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বঙ্গবাসী। তবে, ২১ জানুয়ারির পর থেকে ফের তাপমাত্রা কমতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।