‘হীরকের দুটি ফুল বিজেপি ও তৃণমূল’, মিমে দুই শিবিরকে তীব্র ব্যঙ্গ সিপিএমের

'জেনে গেছে রাজ্যবাসী, হীরক রানি সর্বনাশী, রাজা তার সমান সমান,' মিম-অস্ত্রে TMC-BJP-কে নিশানা CPIM-এর

'হীরকের দুটি ফুল বিজেপি ও তৃণমূল', মিমে দুই শিবিরকে তীব্র ব্যঙ্গ সিপিএমের
ফটো: ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Mar 09, 2021 | 10:47 PM

কলকাতা: দুয়ারে একুশের ভোট। একদিকে বাংলা জয়কে পাখির চোখ করেছে বিজেপি অন্যদিকে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। এর মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপিকে হারাতে জোট বেঁধেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। মিটিং-মিছিল তো আছেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন, মিমের মাধ্যমেও চলছে একে অন্যের বিরুদ্ধে জোরাল প্রচার। ইতিমধ্যে সিপিএমের টুম্পা সোনার প্যারোডি হিট হলেও তা নিয়ে অনেক তীর্যক সমালোচনাও করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা। এবার তৃণমূল ও বিজেপিকে নিশানা করতে সত্যজিত রায়ের কালজয়ী সৃষ্টি ‘হীরক রাজার দেশে’ কে বেছে নিল সিপিএম। দল ও শিবির বদলের মরসুমে মিম-অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে একত্রে বিঁধল তারা।

সিপিএম ওয়েস্ট বেঙ্গল পেজে একটি মিম পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘জেনে গেছে রাজ্যবাসী, হীরক রানি সর্বনাশী, রাজা তার সমান সমান।’  তার নীচে হীরকের রাজার ছবি দিয়ে লেখা, “ওহে মন্ত্রী, হীরকের দুটি ফুল বিজেপি ও তৃণমূল নির্বাচনে গোপন রাখা চাই। ভোটারের মহামন্ত্র মস্তিষ্ক প্রক্ষালক যন্ত্র ইভিএমে ছাপ যেন পাই।” একাধিক সভা থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি করেছেন, বাংলায় ভোটের ফল ত্রিমুখী হলে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গেই জোট করবে। ব্রিগেডের সভা থেকে একই কথা বলেছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। বামেরা বারবার দাবি করে এসেছে বিজেপি ও তৃণমূলের আসলে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। নেট দুনিয়ায় সে কথা জানাতে বুদ্ধিদীপ্ত মিম বানাল সিপিএম।

এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাধানমন্ত্রীকে এক পংক্তিতে ফেলে তীব্র নিশানা করতে বেছে নেওয়া হয়েছে উদয়ন পন্ডিতের চরিত্রকে। তাঁর ছবি দিয়ে বলানো হয়েছে, “জেনে গেছে রাজ্যবাসী হীরক রানি সর্বনাশী। রাজা তার সমান সমান।” তারপরে বামেদের চিরাচরিত আন্দোলনের কথা ফুটিয়ে লেখা হয়েছে,”পথে নেমে প্রতিরোধে রক্তের দেনা শোধে সংগ্রাম শেষতক জান।”

ইতিমধ্যেই ব্যাপক শেয়ার হয়েছে এই মিমটি। কমেন্টেরও ছড়াছড়ি। এই মিম নিয়ে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, বাংলার রাজনীতিতে যখন একে অন্যকে নিশানা করতে গিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের মুখে যখন অকথা-কুকথার স্রোত, তখন কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করেও অনেক কথা বলে দেয় এই পোস্ট। এই ধরনের বুদ্ধিদীপ্ত মিম তৈরির জন্য বামেদের তরুণ ব্রিগেডকে সাধুবাদ জানান সুজন বাবু।

আরও পড়ুন: মন্ত্রীর মুকুল-সাক্ষাতের পরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে অর্পিতা, ভাঙন রুখতে তৎপর তৃণমূল

এদিকে এই পোস্টের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়কে ফোন করেছিলাম আমরা। তাঁর ফোন বেজে গেলেও তিনি ধরেননি। বিজেপির একাধিক নেতাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।