কলকাতা: লক্ষ্মীবারে এ রাজ্যের বহুলচর্চিত উপনির্বাচনের সাক্ষী থাকল বাংলা। বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল উপনির্বাচন (Bhawanipore By-Election)। মোট ৮টি ওয়ার্ডের ভবানীপুর কেন্দ্রে এদিন নজর ছিল গোটা রাজ্যের। শুধু রাজ্যই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও এই এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন যে একটা আলাদা তাৎপর্যের দাবিদার, তা বলাই বাহুল্য। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিজেপির (BJP) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বামেদের (CPIM) মুখ শ্রীজীব বিশ্বাস। তিন প্রার্থীই ভোটের প্রচারে ঝড় তুলেছে। এবার পরীক্ষা ব্যালট বাক্সে। ৩ অক্টোবর এই উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ।
এদিন বেলা ১টা অবধি ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৩৫.৯৭ শতাংশ। সামশেরগঞ্জে ভোটের হার ৫৭.১৫ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৫৩.৭৮ শতাংশ। এদিকে ভোটের সকালে ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দু’টি টুইট ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় সে বিতর্কে মুখ খোলেন। বলেন, এ কাজ তাঁর নয়। তিনি টুইট করতেই জানেন না। থানায় অভিযোগ জানাবেন বলেও দাবি সুব্রতবাবুর। দুুপুর ৩ টে পর্যন্ত ৪৮.০৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল ভবানীপুরে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে পড়েছে ৫৩.৩২ শতাংশ ভোট।
দিনভর ভবানীপুর কেন্দ্রের সমস্ত খবরের লাইভ আপডেট থাকবে এখানে—
ভবানীপুর উপনির্বাচনের শেষলগ্নে এসে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোট শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে থেকে ভবানীপুরের চারটি ওয়ার্ডে ঝোড়ে রিগিং চালিয়েছে শাসকদল। মূলত ৭০, ৭১, ৭৪ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, এমনই অভিযোগ এসে পৌঁছেছে বিজেপির নির্বাচনী রুমে। রিগিংয়ের অভিযোগে পরপর ফোন আসতে থাকে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের পক্ষ থেকে যদিও বিজেপির সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার পিছনে রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি নেই। বরং দুর্ঘটনা থেকেই এই বচসা হয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, কল্যাণের ওই গাড়ির অনুমতি না থাকার পাশাপাশি পুলিশের খাতায় তা নথিভুক্ত ছিল না। সেই কারণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে কল্যাণের আপ্তসহায়ককে।
একেই উপনির্বাচন। তার উপর আবহাওয়ার মুখ ভার। ফলে ভবানীপুরের মতো অভিজাত এলাকায় ভোটের হার যে খুব বেশি হবে না তা আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল। নির্বাচনের ঘণ্টাখানেক বাকি থাকতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেই কম ভোটের ধারাই বজায় থাকল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৩.৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।
সকাল থেকে দু-একটি বিক্ষিপ্ত অশান্তি বাদ দিলে তেমন কোনও বড় অঘটন ঘটেনি ভবানীপুরে (Bhabanipur By-Election)। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে হতে অশান্তি থেকে বাদ থাকতে পারল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র। ‘হামলা’ চালানো হল বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) গাড়িতে। অভিযোগ যথারীতি উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তৃণমূলও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে কল্যাণের গাড়ি যে ভাঙচুর হয়েছে সেই ছবি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কল্যাণের দাবি, বিজেপি ভুয়ো ভোটার ধরে নেওয়ার জেরেই ভাঙচুর চালানো হয়।
সবিস্তারে পড়ুন: ‘আক্রান্ত’ কল্যাণ চৌবে, বাঁশ-পাথর মেরে ভাঙা হল গাড়ির কাচ, কমিশনের ভূমিকায় হতাশ বিজেপি
ভবানীপুরে ভোট (Bhabanipur By-Election) দিতে গিয়ে বিরাট বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovandeb Chatterjee) ছেলে সায়ন দেব চট্টোপাধ্যায় (Sayan Deb Chatterjee)। এ দিন তিনি ভবানীপুরে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট দেওয়ার একটি ভিডিয়ো তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোষ্ট করা হয়। যেখানে দেখা যায় যে তিনি কোন প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোন প্রার্থী কাকে ভোট দিচ্ছেন, সেটা যেমন প্রকাশ্যে বলা যায় না, তেমনই ভোট কেন্দ্রে ক্যামেরা বা মোবাইল নিয়ে যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের নিয়ম মন্ত্রী-পুত্র লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিজেপি।
সবিস্তারে পড়ুন: মমতাকে ভোট দেওয়া ছবি ‘প্রকাশ’ করে বিপাকে শোভনদেবের ছেলে, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি
নিয়ম মেনে নির্ধারিত সময়ে এসে ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারই এই বুথ থেকেই ভোট দিয়ে থাকেন মমতা। সেই মতো এ দিনই মিত্র ইনস্টিটিউশনেই ভোট দেন মমতা। দুপুর ৩ টে ১০ নাগাদ ভোট দিতে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। বেরিয়ে আসেন ৫ মিনিটের মধ্যেই। তবে ভোট দেওয়ার আগে বা পরে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। অন্যদিকে, ঘড়ির কাঁটা দুপুর ৩ টে বাজা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট পড়েনি তিন বিধানসভা কেন্দ্রে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৪৮.০৮ শতাংশ। সামশেরগঞ্জে ৭২.৪৫ ও জঙ্গিপুরে ৬৮. ১৭ শতাংশ ভোটদান হয়েছে।
ভোটের সকালে ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভোটের আর্জি নিয়ে টুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। তা নিয়েই মুখ খুললেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এ কাজ তিনি করেননি। অন্য কারও কাজ এটা। সুব্রতবাবু বলেন, “আমি টুইট করতে জানিই না। কারা করেছে এসব আমার জানা নেই। পুলিশকে গিয়ে আমার মোবাইল ফোনটা দিয়ে দিচ্ছি। অভিযোগও জানাব। ওরাই খুঁজে বের করবে কে এমন ভুয়ো টুইট করেছে আমার নামে।”
#BREAKING | ভোটের দিনও ভোট প্রচার! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভবানীপুরের মানুষকে ভোট দিতে যেতে বলার আর্জি ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জির। তবে কী বিধিভঙ্গ হল, জল্পনা তুঙ্গে।
সব খবর: https://t.co/qlLoSyDMN9@FirhadHakim | @MLA_Subrata | #Bhawanipore #ByElections pic.twitter.com/loR0XOcwe7
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) September 30, 2021
উপনির্বাচনের ভরকেন্দ্র ভবানীপুর। বৃহস্পতিবার দুপুর গড়াতেই সেখানে ভোট ঘিরে উত্তেজনার চিত্র প্রকট হয়ে উঠল। খালসা হাইস্কুলে ভুয়ো ভোটার ঘিরে তুমুল গোলমাল বাধে। বিজেপির অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি।
৭০ নম্বর ওয়ার্ডে শরৎ বোস রোডের একটি বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ। মাস্ক পরে দু’জন ভুয়ো ভোটার ঢুকেছিল বলে অভিযোগ বিজেপির। জিজ্ঞাসাবাদ করে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে ও সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস।
ভবানীপুরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হল। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুই মন্ত্রীকে আটক করারও দাবি তোলা হয়েছে।
সকাল ১১টা অবধি ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ২১.৭৩ শতাংশ। সামশেরগঞ্জে ভোটের হার ৪০.২৩ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৩৬.১১ শতাংশ।
ভোটের হার বাড়াতে ও ভোটারদের মনোবল বাড়াতে ভবানীপুর উপনির্বাচনে রাজপথ থেকে অলিগলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ চলছে।
২২৮,২২৯,২৩২ নম্বর বুথ থেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে।
২২৯ নম্বর বুথে কাজ করছে না ভিভিপ্যাট। ৪৫ মিনিট ধরে তা অকেজো বলে অভিযোগ।
সাদা পোশাকে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। ৬৩ এবং ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বহুতলে গিয়ে পুলিশ হুমকি দিচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান অর্জুন।
সকাল ৯টা অবধি ভবানীপুরে ভোট পড়েছে মাত্র ৭.৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ ভোটার থাকলেও, ভোট নেই ভবানীপুরে। প্রথম পর্বে ভোট শতাংশের হার কম থাকায়, তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট চেয়ে আবেদন করতে দেখা গেল।
#VoteForDidi
Today is a very important day as the by-polls are are being held in 3 seats including Bhabanipur. We have to motivate voters to vote in favour of Didi and ensure that Didi wins by a huge margin.#MamataBanerjeeForBhabanipur pic.twitter.com/XzS4nUxTuP— MLA Subrata Mukherjee (@MLA_Subrata) September 30, 2021
সবিস্তারে পড়ুন: ভবানীপুরে ভোটের ভাঁড়ে মা ভবানী! ভোটারদের এগিয়ে আসার আবেদন করে টুইট ফিরহাদ-সুব্রতদের
১৪৪ ধারা বলবৎ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ভবানীপুরে সমস্ত দোকানপাট খোলা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানান তিনি। যদিও কমিশন জানিয়ে দিল, দোকান খোলা থাকতেই পারে। তবে পাঁচজনের বেশি লোক থাকলে সরিয়ে দিতে হবে।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৭.৫৭ শতাংশ। সামশেরগঞ্জে ভোট পড়েছে ১৬.৩২ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ১৭.৫১ শতাংশ।
ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। বিজেপির প্রার্থীর কনভয়ে জুড়ল কলকাতা পুলিশের তিনটি গাড়ি।
সবিস্তারে পড়ুন: Bhawanipore By-Election: বিজেপি প্রার্থীর বাড়তি নিরাপত্তা, দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ ‘ভোটারদের নিরাপত্তা দিন’
ভবানীপুরে ভোট হচ্ছে ১৪৪ ধারা বলবৎ করে। অথচ অভিযোগ, এলাকার সমস্ত দোকানপাট খোলা রয়েছে এই নিয়ে পুলিশকে প্রশ্ন করেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কমিশনকেও জানান তিনি। এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের পাড়ায় বুথ জ্যামের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সে অভিযোগ অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।
সবিস্তারে পড়ুন: Bhawanipore By-Election: ‘মদনের আবার এলাকা কী’, ভোটের সকালে দাবি ফিরহাদের
ভোটের দিন সকালে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের বিস্ফোরক দাবি, এই কেন্দ্রে অনেক ভোটার ভোট দিতে আসেন না। যার অন্যতম কারণ, শাসকদলের ‘দাদাগিরি’।
সবিস্তারে পড়ুন: Bhawanipore By-Election: ভোটদান রুখতে আবাসনের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়, ভোটের সকালে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী
৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে। কিন্তু সকাল থেকে বুথ ছাড়া আর কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। হিসাবমতো ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় এলে, রাস্তাতেও পর্যাপ্ত জওয়ানদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু সকাল থেকে শুধুই কলকাতা পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছেন।
A temporary polling booth set up at ward number 71 in Bhabanipur for ladies and senior citizens ahead of #WestBengalBypolls
Polling to begin at 7 am and end at 6 pm. pic.twitter.com/NgqBj9OovI
— ANI (@ANI) September 30, 2021
WB | Bhabanipur set for bypoll today, polling to begin at 7 am and end at 6 pm
Bhabanipur constituency will today seal the fate of TMC leader Mamata Banerjee, who is looking to enter the state Assembly before end of her 6 month period of Chief Ministership-without-being-an-MLA. pic.twitter.com/uFbYEGRmsx
— ANI (@ANI) September 30, 2021
মিত্র ইন্সটিটিউশনে আজ ভোট দেবেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটকেন্দ্রের ২০৯ নম্বর বুথে ভোট দেবেন তিনি। সেই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের প্রস্তুতির ছবি, প্রার্থীদের এজেন্টের ছবি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ছবি পাঠানো হলো। পাশাপাশি ওই ভোটকেন্দ্রের অন্যান্য বুথের ছবি ও পাঠানো হলো। মোট পাঁচটি বুথ রয়েছে এই কেন্দ্রে। ২০৮ থেকে ২১০ এবং ২১৩ ও ২১৪ নম্বর বুথ।
ভবানীপুর বিধানসভার ১২৪ নম্বর বুথে শুরু করা গেল না মক পোল। ভিভিপ্যাট বিকল থাকায় এই সমস্যা হয়েছে। আলিপুর রোডে কেএমসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারটি বুথ রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে মক পোল শুরু করার সময় দেখা যায় ভিভিপ্যাটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কমিশনের আধিকারিকরাও এসেছেন।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে কেউ যদি বুথে যেতে না পারেন তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে অভিযোগ জানালেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারকে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশনই। শুধু ভবানীপুরের জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। সকাল থেকেই এলাকায় ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুরের উপনির্বাচনের জন্য প্রথমে কথা ছিল ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে তা বাড়িতে ৩৫ কোম্পানি করা হয়েছে। একেবারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজ্রকঠোর। সমস্ত বুথেই ওয়েব কাস্টিং হবে। থাকবে হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড। থাকবে আটটি মোবাইল ভ্যান।
একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের শোভনদেবের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে লড়েছিলেন অভিনেতা থেকে রাজনেতা হওয়া রুদ্রনীল ঘোষ। কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন শাদাব খান। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন শোভনদেব। মোট ৮ ওয়ার্ডের এই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষের কিছু বেশি। উপনির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির যুবা নেত্রী তথা পেশায় আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কংগ্রেস এ বার প্রার্থী দেয়নি। তাই সিপিএম আরেক যুব নেতা এবং পেশায় আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে নামিয়েছে ভোট ময়দানে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লড়াইটা দ্বিমুখী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যেহেতু এই কেন্দ্রের দিকেই সর্বভারতীয় রাজনৈতিক মহলের নজর রয়েছে, তাই ভবানীপুরকে কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে প্রশাসন। কেবলমাত্র একটি কেন্দ্রের জন্য বেনজিরভাবে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীর ব্যবস্থা করেছে কমিশন।