Sukanta Majumdar: ‘হেমন্তের গ্রেফতারি চোখ খুলে দিয়েছে’, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও ‘চম্পাই ব্যানার্জি’ খুঁজে রাখার পরামর্শ সুকান্তর

TMC-BJP: 'সিটিং মুখ্যমন্ত্রী'কে গ্রেফতার করা যে অসম্ভব কিছু নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন সুকান্ত। বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লিতে সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, 'হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি আশা করি কিছু লোকের চোখ খুলে দিয়েছে। কেউ মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি গ্রেফতার হতে পারেন।'

Sukanta Majumdar: 'হেমন্তের গ্রেফতারি চোখ খুলে দিয়েছে', বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও 'চম্পাই ব্যানার্জি' খুঁজে রাখার পরামর্শ সুকান্তর
সুকান্ত মজুমদারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2024 | 10:03 PM

কলকাতা ও নয়া দিল্লি: বুধবার রাতেই হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতারির ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আর এরপরই বৃহস্পতিবার সুর চড়ালেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ‘সিটিং মুখ্যমন্ত্রী’কে গ্রেফতার করা যে অসম্ভব কিছু নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন সুকান্ত। বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লিতে সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি আশা করি কিছু লোকের চোখ খুলে দিয়েছে। কেউ মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি গ্রেফতার হতে পারেন।’

প্রসঙ্গত, হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির আশঙ্কা অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল। সেই মতো পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়েও বিভিন্ন গুঞ্জন চলছিল মঙ্গলবার থেকেই। গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ড পর্ব শেষে হেমন্ত সোরেনকে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজভবনে যায় ইডি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন তিনি। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন হেমন্তের অনুগত সৈনিক চম্পাই সোরেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বৃহস্পতিবার বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘সেই জন্য আমিও বলব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে, চম্পাই ব্যানার্জি খুঁজে রাখতে।’

এদিকে সুকান্তর এই খোঁচার পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও। অতীতে যে বিভিন্নভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উদ্দেশে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির বিভিন্ন নেতারা, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শান্তনু। সংসদ চত্বরে সুকান্তর মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে শান্তনু বলেন, “এ সব থেকে বোঝা যায়, তারা কতটা নারীবিদ্বেষী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলীপ ঘোষ বারমুডা পরতে বলেন, নরেন্দ্র মোদী ‘দিদি ও দিদি’ বলে সম্বোধন করেন। কেউ আবার বেগম-ফুফা-খালা বলেন। সুকান্ত মজুমদারও এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছিলেন। তাঁরা যত এসব করবেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের আশীর্বাদ ও সমর্থন তত বাড়বে।”