Shamik Bhattacharya: ‘আমরা তো স্যান্ডউইচ’, কথাবার্তা অনুষ্ঠানে কেন এমন মন্তব্য শমীকের?
Katha Barta: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তৎপরতা নিয়ে শমীকের দাবি, তারা সক্রিয় বলেই তো এত টাকা উদ্ধার হচ্ছে।
কলকাতা: ইডি, সিবিআইয়ের তৎপরতায় রাজ্যের শাসকদল বারবারই বিজেপির ভূমিকাকে তুলোধনা করেছে। তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী থেকে সাধারণ কর্মী সকলেরই বক্তব্য, কেন্দ্রে যেহেতু বিজেপির সরকার, সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই অবিজেপি সরকারের রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে এগিয়ে দিচ্ছে তারা। শনিবার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) বলেন, “সিবিআই তৎপর হয়েছিল বলেই তো একজনের বাড়ি থেকে ৪০ কোটি টাকা পাওয়া গেল। রাজ্যজুড়ে এক একজনের নামে এত এত সম্পত্তির খোঁজ মিলছে। তৎপর হয়েছিল বলেই তো। এই তৎপরতা আরও হোক তাই তো চাই। এই তৎপরতা নিয়েই তো গত ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গে বিতর্ক চলল।”
একইসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে তৃণমূল-সিপিএমের নিজ নিজ তত্ত্বে বিজেপির ‘স্যান্ডউইচ’ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। শমীকের কথায়, “যখনই ইডি, সিবিআই তৎপর হয় তখনই তৃণমূল কংগ্রেস বলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আর যখনই তদন্তের গতি একটু শ্লথ হয়ে যায় তখনই সিপিএম, কংগ্রেস বলে দিদি-মোদি গটআপ। আমরা তো এরমধ্যে স্যান্ডউইচ। আমরা এই প্রশ্ন শুনে শুনে আর উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত। আমরা তো শেষ চাই। মানুষ প্রকৃত অপরাধীকে দেখতে চায়।”
তবে সিবিআইয়ের তদন্তে গতি নিয়ে বিজেপির মনেও যে প্রশ্ন রয়েছে, ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এ নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের অবশ্য বক্তব্য, “তদন্ত প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে আমাদের ক্ষোভ আছে। কিন্তু সিবিআইকে তদন্ত করতে গেলে তো স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা লাগবে। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের চরম অসহযোগিতা এখানে। তথ্য লোপাট, প্রমাণ লোপাট। আমি একজন কর্মী হিসাবে আবেগ থেকে বলতে পারি কেন দেরি হচ্ছে? আমারও তো মনে হয়। এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ভোটের পর। তাঁর মা এসে আমার কাছে কাঁদছেন। তিনি এখন ছাতু বিক্রি করেন, স্বামী শয্যাশায়ী। উনি বলছেন, হুমকি পাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, মামলা না তুললে ছেলের মতোই পরিণতি হবে।”
তবে এমন অভিযোগ পেলে কেন গিয়ে হাজির হন না দলের নেতারা? শমীকের দাবি, “আমাদের মতো করে যে ঝাঁপিয়েছি তা পরিবারগুলো জানে। পরিস্থিতি এরকম ছিল একজন মারা গেছেন, পাশে যারা কর্মীরা ফোন করে বলছে আপনারা যদি এখন আসেন তাহলে আমাদের ঘরও ভেঙে দেবে। এই পরিস্থিতিটাও মানতে হবে।”