অক্সিজেন সিলিন্ডার, জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে হয়রানির শিকার? সরাসরি ফোন করুন কলকাতা পুলিশের এই নম্বরে

অক্সিজেনের জন্য রাজ্য জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। কোভিড (West Bengal Corona Update) পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জালিয়াতি রুখতে এবার পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশও (Kolkata Police)।

অক্সিজেন সিলিন্ডার, জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে হয়রানির শিকার? সরাসরি ফোন করুন কলকাতা পুলিশের এই নম্বরে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2021 | 11:19 AM

কলকাতা: অক্সিজেনের জন্য রাজ্য জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। কোভিড (West Bengal Corona Update) পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জালিয়াতি রুখতে এবার পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশও (Kolkata Police)। কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কালোবাজারি রুখতে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর।

হেল্পলাইন নম্বরটি হল ৯৮৭৪৯০৯৬৪০। দেওয়া হয়েছে একটি মেইল আইডিও। jointcpcrime@kolkatapolice.job.in। কালোবাজারি ঠেকাতে এই নম্বরে ফোন করে বা মেইল করার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

কোভিড কাবু গোটা বাংলা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের নাম করে প্রচুর মানুষ প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অনেক নম্বর, যেখানে ফোন করলে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই নম্বরগুলিতে ফোন করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। অনেক কোভিড আক্রান্ত রোগীর পরিবার টাকা দিয়েও পাননি অক্সিজেন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। গত সপ্তাহেই বনগাঁ থেকে এমনই দুই প্রতারকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ওই দুই প্রতারক পেশায় মোবাইল ব্যবসায়ী। তারা কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে।

বাংলাতেও একাধিক অভিযোগ আসছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। কালোবাজারি রুখতে সাধারণ মানুষ সরাসরি যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন, তার জন্য হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারই দেখা গিয়েছে রেমডিসিভির নিয়ে কালোবাজারি করায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সমস্ত ওষুধ আপাতত সেন্ট্রালি সরবরাহ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কোভিডের ২৪ হাজারের ওষুধ বিকোচ্ছে ৯০ হাজারে! TV9 বাংলার স্টিং অপারেশনে চক্র ফাঁস হতেই কড়া স্বাস্থ্য দফতর

তবে এক্ষেত্রেও দেখা দিচ্ছে একটি সমস্যা। কিছু বেসরকারি হাসপাতাল রোগীর পরিবারকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে দিচ্ছেন হাতে। তা নিয়েই খোলাবাজারে যাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। যা কালোবাজারিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য রেমডিসিভির ব্যবহার সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।