AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bratya Basu: ‘হাইলি সাসপিশিয়াস’! রাজভবনে নজরদারির বিতর্কে জটায়ুর কথা টানলেন ব্রাত্য

Bratya Basu: সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা কাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র জটায়ু ওরফে লালমোহন গাঙ্গুলি। রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস লেখক লালমোহনবাবু মাঝেমধ্যেই কোনও রহস্যজনক ঘটনায় বলে উঠতেন 'হাইলি সাসপিশিয়াস।' রাজ্যপাল বোসের এমন পদক্ষেপে লালমোহনবাবু ওরফে জটায়ুর কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর।

Bratya Basu: 'হাইলি সাসপিশিয়াস'! রাজভবনে নজরদারির বিতর্কে জটায়ুর কথা টানলেন ব্রাত্য
রাজ্যপাল বোস ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যImage Credit: PTI and Facebook
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2023 | 8:40 PM
Share

কলকাতা: রাজ্যপালের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। দু’জন পুলিশকর্মীর গতিবিধি সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে বলেও রাজভবন সূত্রে খবর। এই নিয়ে গতকাল থেকেই জলঘোলা হতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও চিঠি গিয়েছে রাজভবন থেকে। রাজভবনের আংশিক নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে রাখা হোক, এমনটাই চাইছে রাজভবন। বিশেষ করে রাজ্যপালের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা এবং অফিশিয়াল এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে রাখতে চাইছে রাজভবন। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই নিয়ে সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট জটায়ু চরিত্রের কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি। বিষয়টি ‘হাইলি সাসপিশিয়াস’ বলেও কটাক্ষ করলেন ব্রাত্য বসু।

সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা কাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র জটায়ু ওরফে লালমোহন গাঙ্গুলি। রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস লেখক লালমোহনবাবু মাঝেমধ্যেই কোনও রহস্যজনক ঘটনায় বলে উঠতেন ‘হাইলি সাসপিশিয়াস।’ রাজ্যপাল বোসের এমন পদক্ষেপে লালমোহনবাবু ওরফে জটায়ুর কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর। বললেন, “যদি দু’জন পুলিশকে দেখে ওনার এমন মনে হয়ে থাকে, তাহলে আমি আর কী বলব! এটা ওনার ব্যাপার। তবে বিষয়টি শুনে আমার জটায়ুর কথা মনে পড়ছে। হাইলি সাসপিশিয়াস। এই ধরনের কোনও ব্য়াপার করতে চাইছেন।”

উল্লেখ্য,  রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের আবহে নতুন মাত্রা যোগ করেছে রাজ্যপালের গতিবিধির উপর নজরদারির অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে রাজভবন থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজ্যপালের কাজকর্মকে কটাক্ষ করেছেন শিক্ষমন্ত্রী। কখনও নাম করে, কখনও নাম না করে।

নজরদারি বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। তাঁর বক্তব্য, “পুলিশের চরিত্র এখন যা এই রাজ্যে, ওখানেই সেই কাজই করতে গিয়েছে। রাজ্যপাল তা ধরে ফেলেছেন, তাই সরিয়ে দিচ্ছেন। একটু আগে করলে আরও ভাল হত।”