Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টিকিট মেলেনি, ক্ষোভে বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত শোভন-বৈশাখীর

২০১৯ সালের আগস্টে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে পদ্মশিবিরে যোগ দেন শোভন ও বৈশাখী

টিকিট মেলেনি, ক্ষোভে বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত শোভন-বৈশাখীর
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 14, 2021 | 7:22 PM

কলকাতা: দিলীপ ঘোষকে চিঠি দিয়ে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো এই চিঠির প্রতিলিপিতে বলা হয়েছে দলের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। চিঠিতে শোভন লিখেছেন, ‘আজ থেকে দলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’

বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে রেকর্ড রত্নাকে ভোটে হারানোর হুঁশিয়ারি দিলেও শেষ পর্যন্ত টিকিটই পেলেন না ওই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। যার জেরে এ দিন ক্ষোভে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শোভন।

রবিবার বিজেপির তৃতীয় ও চতুর্থ দফার তালিকা প্রকাশের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে বিজেপিকে নিশানা করে শোভনকে নিয়ে তিনি লেখেন, “আমার জীবনে আইকন হয়েই তুমি থাকবে। আজকের অপমান আমাদের উদ্দীপনাকে হারাতে পারবে না! আমরা আবার লড়ব এবং জিতব।” তিনি আরও যোগ করেন, “ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতা বেশি দিন টিকতে পারে না। বেহালা পূর্বের মানুষ তোমাকে ভালবাসে এবং এটাই তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”

এই ফেসবুক পোস্টটি আর বৈশাখীর প্রোফাইলে দেখা না গেলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনই বিজেপি ছাড়ার কথা রাজ্য সভাপতিকে জানিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বেহালা পূর্বে বিজেপি প্রার্থী করেছে অভিনেতা পায়েল সরকারকে। এ নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলের সঙ্গে দু’বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন শোভন ও বৈশাখী।

২০১৯ সালের ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের হাত ধরে সেদিন বিজেপিতে যোগদান করেন বৈশাখীও। তারপর অবশ্য একাধিকবার নানা কারণে বিজেপির মধ্যে থেকেও নিষ্ক্রিয় দেখিয়েছিল বিজেপির কলকাতার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা শোভনের। মাঝখানে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ভাইফোঁটা নেওয়ার প্রেক্ষিতে তাঁর ঘরওয়াপসির সম্ভাবনাও দেখা যায়। যদিও সে সব সম্ভাবনা দূরে সরিয়ে রেখে একুশের নির্বাচনী প্রচারে কোমর বেধে নেমে পড়তে দেখা গিয়েছে শোভন ও বৈশাখী জুটিকে। বিভিন্ন সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেছেন। কিন্তু একুশের ভোটে ইপ্সিত কেন্দ্রে প্রার্থী হতে না পেরে ক্ষোভে দল ছাড়লেন শোভন। বিজেপির সঙ্গে প্রায় দু’বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।