Prajapati-Nandan: ‘সিনেমা নিয়ে ওনার হয়ত পড়াশোনা নেই’, মিঠুন বিতর্কে কুণালকে বিঁধলেন দেব
Dev: দেব বলেন, "কুণালদা অত্যন্ত স্নেহ করেন। তবে বারবার একটাই কথা বলব, উনি রাজনৈতিক মুখপাত্র। আমার মনে হয় সিনেমা নিয়ে ওনার পড়াশোনা নেই। আমি ওনাকে ছোট করে কিছু বলতে চাইছি না।"
কলকাতা: নন্দনে শো পায়নি দেব-মিঠুন অভিনীত ছবি প্রজাপতি। যা নিয়ে প্রথম থেকেই খড়্গহস্ত বিজেপি। তাদের স্পষ্ট দাবি, মিঠুন চক্রবর্তী আছেন বলেই এই ছবি নন্দনে দেখানো হল না। শুধু শাসকদল নয়, চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত বহু পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রীই এর সমালোচনা করেছেন। তবে রাজনৈতিক আকচাআকচি চরমে পৌঁছয় সোমবার। দিলীপ ঘোষের এক বক্তব্যের পাল্টা কুণাল ঘোষের মন্তব্য ঘিরে। অভিনেতা মিঠুনকে ফ্লপ বলার পাশাপাশি প্রজাপতিতে মিঠুনকে নেওয়া প্রযোজক দেবের ‘আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরই পাল্টা এবার মুখ খুললেন দেব। টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেব বলেন, “কুণাল ঘোষের হয়ত সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা নেই।”
এদিন দেব বলেন, “কুণালদা অত্যন্ত স্নেহ করেন। তবে বারবার একটাই কথা বলব, উনি রাজনৈতিক মুখপাত্র। আমার মনে হয় সিনেমা নিয়ে ওনার পড়াশোনা নেই। আমি ওনাকে ছোট করে কিছু বলতে চাইছি না। যথেষ্ট সম্মানীয় একজন মানুষ। তবে আমি মনে করি সিনেমাটা আমার উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।” ছবি নিয়ে এমন ‘রাজনীতি’তে তিনি যে অত্যন্ত বিরক্ত, সে কথাও এদিন দেবের বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে ধরা পড়ে।
দেবের কথায়, “কুণালদা কী বলবেন বা বিজেপি কী বলবে তার নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে নেই। আমি যেটা পারি, আমার কথায় যেন কেউ অসম্মানিত না হন। আর মিঠুনদাকে নিয়ে আমি কোনও দলকে ছোট করছি না, এমনকী আমার দলকেও না। আমার দায়িত্ব, মিঠুনদা শুটিঙে এসে এমন কিছু বলবেন না যাতে আমার দলকে বা অন্য কোনও দলকে অসম্মান করা হয়। সেটা আমি দেখেছি। এমনটা হলে আমি নিজেই বলতাম, মিঠুনদা আমি কাজ করব না। সেটা হয়নি। শুটিং ফ্লোর ছেড়ে মিঠুনদা কী তার দায়িত্ব তো আমার না। মিঠুনদার সঙ্গে আমার বাবা-ছেলেরই সম্পর্ক। কিন্তু এটাও সত্যি, আমি সিনেমাপ্রেমী।”
শাহরুখ খান-দীপিকা পাডুকোন অভিনীত পাঠান ছবির একটি গান নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক দানা বাঁধে। এদিন সে কথা টেনে এনে দেব বলেন, “এখন সবকিছুতেই রাজনীতি। দীপিকা পাডুকোনের পোশাক নিয়ে হোক বা কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে হোক। তবে আমি খুশি, আমার বিষয়টা এতটা ঘোরাল নয়। কারও মনে হতে পারে মিঠুনদার বদলে অন্য কেউ হলে ভাল হতো। কিন্তু একজন প্রযোজক হিসাবে আমার মনে হয়েছে মিঠুনদার থেকে ভাল এই চরিত্রে কেউ অভিনয় করতে পারবে না। সেটা আমি করেছি। কুণালদা কী বলেছে আমি জানি না। তবে আমরা তো অবুঝ নই। এটা রাজনীতির জন্য নয়, অভিনয়ের জন্য। আমি বলব, কেউ যেন বিতর্ক তৈরি করে ছবিটার ক্ষতি না করে। খুব কষ্ট করে ছবিটা বানাতে হয়। দক্ষিণ ভারত বা হলিউড যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা আমাদের মধ্যে লড়াই করে পিছিয়ে যাচ্ছি, এটা ঠিক না। এটা সিনেমার জয়।”
কী বলেছেন এদিন কুণাল? তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, “আমি তো শুনেছি, দেব বেচারা মুখে বলতে পারছে না। ওর তো মিঠুনদাকে নেওয়াটা একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। দেব বেচারা একটা সুন্দর ছবি করতে গেল, মিঠুনদার ফ্লপ অভিনয়! ওখানে যদি পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতেন ফাটাফাটি হয়ে যেত। ওই জায়গাটা একটু অসুবিধা হচ্ছে। ওকেও একটু বলতে হচ্ছে।”