Child Death: জল ভরা বালতিতে ডুবে মৃত্যু ৩ বছরের শিশুর! ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা মা-বাবা
Anandapur: রোহনের দিদিমা আনন্দপুর থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
কলকাতা: তিন বছরের শিশুর মৃত্যু (Unnatural Death) ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামের সোনি মণ্ডল ও বিজয় মণ্ডলের ছোট ছেলে রোহন মণ্ডল। গত ৬ নভেম্বর তারই মৃত্যু হয়। বাবা, মা রোহনের দিদিমাকে জানান, বাথরুমের ভিতর জল ভর্তি বালতিতে ডুবে মারা গিয়েছে শিশুটি। কিন্তু এই বক্তব্য মানতে নারাজ ছিলেন রোহনের দিদিমা। তিনি আনন্দপুরের বাসিন্দা। আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জামাইয়ের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, ছেলেটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই সোনি, বিজয়ের। যা ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ। এদিকে এই মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে আনন্দপুর থানার পুলিশ আদালতের নির্দেশে তপসিয়ার হিন্দু সমাধিস্থান থেকে মাটি খুঁড়ে দেহ তুলে তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ওই মহিলার অভিযোগ, গত ৬ নভেম্বর তাঁর মেয়ে তাঁকে ফোন করে জানান, তিন বছরের ছেলে বাথরুমে বালতির জলে ডুবে মারা গিয়েছে। এই ফোনে খটকা লাগে ওই মহিলার। নিছক দুর্ঘটনাবশত এই মৃত্যু বলে মানতে নারাজ তিনি। তাই আনন্দপুর থানায় অভিযোগ জানান। মৃত শিশুর দিদার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা শিশুটির বাবা, মা। তাঁরা জুতোর কারখানায় কাজ করেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, এই মৃত্যু যদি নিছক দুর্ঘটনাই হয়, তাহলে কেন মা, বাবা বাড়ি ছাড়া?
৬ নভেম্বর মৃত্যু হয় শিশুটির। স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে ৭ নভেম্বর তপসিয়ায় সমাধিস্থ (Hindu Burial Ground) করা হয় শিশুটিকে। ৮ তারিখ থানায় যান দিদিমা। এরপরই আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দেহটি তোলা হয়। সত্যিই কি শিশুটিকে খুন করা হয়েছে? তা নিশ্চিত হতেই এদিন দেহের ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি তোলা হয় শিশুটির দেহ। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুর মৃত্য়ুসংক্রান্ত শংসাপত্রে নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে। সেই চিকিৎসকও পুলিশের নজরে।