Water Supply at Jorabagan: ছটের সকালে জল নেই খাস কলকাতায়, পথ অবরোধ জোড়াবাগানে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 29, 2022 | 12:40 PM

Jorabagan: সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর।

Water Supply at Jorabagan: ছটের সকালে জল নেই খাস কলকাতায়, পথ অবরোধ জোড়াবাগানে
পথঅবরোধ জোড়াবাগানে।

Follow Us

কলকাতা: পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ খাস কলকাতায়। শনিবার সকালে পথ অবরোধে নামেন জোড়াবাগান (Jorabagan) এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, জল নিয়ে দীর্ঘদিন সমস্যা হচ্ছে এলাকায়। এরপরই শনিবার সকাল থেকে অবরোধে বসেন তাঁরা। খবর পেয়ে এলাকায় আসেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কিছু পরেই আসেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জোড়াবাগানে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। জোড়াবাগান মোড় ও নিমতলা ঘাট স্ট্রিট ক্রসিং অর্থাৎ চার মাথার মোড় ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকার বাসিন্দারা। গার্ডরেল দিয়ে তারা রাস্তা ঘিরে রাখেন।

তাঁদের একটাই দাবি, জল চালু করতে হবে। তাহলেই রাস্তা পরিষ্কার করে দেবেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ সিংয়ের কথায়, “আজ আমাদের ছটপুজো। অথচ এলাকায় জল নেই। রাস্তার কলগুলো নির্জলা। কিন্তু আমরা ঠাকুরের বাসন, অন্যান্য সামগ্রী সবই তো এই রাস্তার কলের জলেই ধুই। বলছে মেশিন খারাপ। কিন্তু পরবের দিন এ কথা আমরা শুনব কেন? আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলেছি, কোনও সমাধান হয়নি।”

এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকেই জলের সমস্যা শুরু হয়েছে এলাকায়। সকাল ৬টায় জল আসার কথা থাকলেও কখনও সাড়ে ৬টা, কখনও ৭টা, কখনও সাড়ে ৭টায় জল আসে। দিনে চারবার জল আসার কথা। সকাল ৬টা, বেলা ১১টা, বিকেল সাড়ে তিনটে, রাত ৮টা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকালের জল নিয়ম মেনে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুপুরে রাতে জল দেয় না। দু’বার জল দিলেও তাও অনিয়মিত।

সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকজন। তাঁদেরই একজন বলেন, “ঠাকুর বিসর্জনের পর কাঠামোগুলো গিয়ে পড়ে জাম হয়ে গেছে। ওটা সাফাই চলছে। পরিষ্কার হলেই জল চলে আসবে। এটা একেবারেই যান্ত্রিক গোলমালের কারণে হয়েছে। এটা অন্য কিছু নয়। আমরা কাউন্সিলর চাইব না মানুষ জল পাক?” তাঁদের দাবি, “এ সমস্যা একেবারেই দীর্ঘদিনের সমস্যা নয়। প্রথম হয়েছে। হঠাৎ মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য এই অবস্থা। আমাদের মন্ত্রী শশী পাঁজা নির্দেশ দিয়েছেন। এক ঘণ্টার মধ্যে জল এসে যাবে।”

 

Next Article