West Bengal School: সময়সীমা ধার্য করে ডেটা জমা দেওয়ার নির্দেশ, স্কুল খুলতে বিকাশ ভবনের উদ্যোগ
West Bengal School: লকডাউন ও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের সার্ভে করেছিল বিকাশ ভবন। জেলাশাসকদের চিঠি দেয় বিকাশ ভবন। করোনা আবহে দীর্ঘ দু'বছর বন্ধ ছিল স্কুল।
কলকাতা: স্কুল খুলতে বিকাশ ভবনের পদক্ষেপ। বিকাশ ভবনের তরফে দেওয়া হল একাধিক নির্দেশ। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার ক্ষেত্রে সময়সীমা ধার্য করে দিল বিকাশ ভবন।
সূত্রের খবর, ২৯ অক্টোবরের মধ্যে স্কুলগুলিতে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন স্কুলে বর্তমানে কত সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন, তা রাজ্যকে পরিসংখ্যান দেবে স্কুলগুলি। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আধারের তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৬ অক্টোবরের মধ্যে সেই তথ্য জমা দিতে হবে।
সূত্রের খবর, স্কুলবাড়ি মেরামতির জন্য, স্কুল পিছু টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছে বিকাশ ভবন। সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, কোনও স্কুলে ৭০ হাজার, আবার কোনও স্কুলে ১ লক্ষ টাকারও বেশি দিচ্ছে বিকাশ ভবন।৬৪৬৮ টি স্কুল টাকা পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
লকডাউন ও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের সার্ভে করেছিল বিকাশ ভবন। জেলাশাসকদের চিঠি দেয় বিকাশ ভবন। করোনা আবহে দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ ছিল স্কুল। স্কুল সারাতে কত টাকা লাগবে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের খরচের তালিকা পাঠাতে বলল বিকাশ ভবন। ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল সেটা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এরই মধ্যে সেই তালিকা হাতে পেয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ করে বিকাশ ভবন।
আমফান-ইয়াস ও কোভিড গ্রামের দিকের অনেক স্কুলভবনেরই ক্ষতি হয়েছে। কোনও কোনও স্কুলের জানলা-দরজা ভেঙেছে ঝড়ের দাপটে। কোথাও আবার বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরেছে। স্কুল খোলার পর কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তত্পর প্রশাসন। তাই তা সারাতে কত টাকা লাগতে পারে, তা জানতে আগেই গুগল ফর্মের মাধ্যমে বিকাশ ভবন একটা আপডেট দিয়ে রেখেছিল। স্কুল খোলার সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
অগস্ট-সেপ্টেম্বরে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। সংক্রমণ ১ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু পুজোর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। পুজোর চার দিনে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে ২.৯৩ শতাংশ।পজিটিভিটির রেট বেড়ে যাওয়ায় উগ্বিগ্ন চিকিত্সকরাও। সেক্ষেত্রে পুজো শেষ হলেও আদৌ স্কুল খুলবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ হয়েছে।
অগাস্টেই স্কুল খোলা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “পুজোর পরই স্কুল খুলবে রাজ্যে। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো স্কুল স্যানিটাইজ করে তারপর তা খোলা হবে। তবে তা হবে যদি তৃতীয় ঢেউ না আসে। তৃতীয় ঢেউ যদি ভয়ঙ্কর না হয়।” কিন্তু সে সময় সংক্রমণ ছিল ১ শতাংশের আশেপাশে। কিন্তু এখন তা দ্বিগুণ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের (NIDM) তরফে গত মাসেই একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে পিএমওতে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, অক্টোবরেই চরম আকার ধারণ করতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। শিশুদের ক্ষেত্রে যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকবে, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার বিষয়ে একটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
স্কুল খোলার আগে আবশ্যিকভাবেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। তবে তার আগে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিচ্ছে বিকাশভবন।