Kolkata Night Curfew: শহরে কড়াকড়ি রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গাড়ি থামিয়ে চলল চেকিং
Kolkata Night Curfew: কড়াকড়ি করা হয়েছে শহরের সহ নাকা চেকিং পয়েন্টগুলিতে। অকারণে নাইট কারফিউ চলাকালীন রাস্তায় দেখতে পেলেই আটকানো হচ্ছে।
কলকাতা: পুজোর পর থেকে বাংলায় আবারও উর্দ্ধমুখী করোনা গ্রাফ। সংক্রমণে রাশ টানতে ফের নাইট করফিউতে কড়াকড়ির নির্দেশ নবান্নের। শনিবার রাত থেকে শহরে বাড়ল কলকাতা পুলিশের তৎপরতা। ধর্মতলা, চৌরঙ্গি-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে রাত ভোর নাকা চেকিং চালান কলকাতা পুলিশের কর্তারা।
প্রত্যেকটি গাড়িতে যথোপযুক্ত বৈধ নথি ও কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে বা কথাবার্তায় সন্দেহজনক বোধ হলে তৎক্ষণাৎ আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। পুজোর ক’টা দিন লাগাম ছাড়া ভিড় দেখা গিয়েছিল শহরের রাস্তায়। ছাড় ছিল নৈশকালীন কারফিউয়ের উপরেও। কিন্তু পুজো পর্ব মিটতেই ফের আগের নিয়ম। ফের চালু হয়ে গিয়েছে নাইট কারফিউ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শহরে ফের চালু হয়ে গিয়েছে রাতের কড়াকড়ি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত নৈশকালীন বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৩১২ জন বাইকআরোহীকে জরিমানা করা হয়েছে।
কড়াকড়ি করা হয়েছে শহরের সহ নাকা চেকিং পয়েন্টগুলিতে। অকারণে নাইট কারফিউ চলাকালীন রাস্তায় দেখতে পেলেই আটকানো হচ্ছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার আগেই ২৬৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। আর মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত ৪৬ জনকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
শহরে করোনার রেখচিত্র দেখে চোখ কপালে উঠছে প্রশাসনিক কর্তাদের। কলকাতায় কার্যত লাফ দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গতকাল শহরে দৈনিক সংক্রমণ ৩০০ ছাড়িয়েছিল। আর আজ সেই সংখ্যাটা ছাড়াল ৪০০। রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে কলকাতা পুরসভা এলাকার বাসিন্দা ৩১৮ জন। ১৩১ জন কলকাতা পুরসভা এলাকার বাইরের বাসিন্দা। ৩১৮ জনের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে এমন আক্রান্তের সংখ্যা ৬১, উপসর্গ বিহীন ২৫৭ জন। এদের মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে ২২ জনের। আর টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে ১৯৪ জনের। ভ্যাাকসিন নেওয়া হয়নি এমন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে ৩৫ জনকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই চিত্র দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের।
পুজোয় বেড়েছে করোনার পজিটিভিটি রেট। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত একদিনে পজিটিভিটি রেট ২.৩৩ শতাংশ। একদিন আগেই যা ছিল ২.১৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য় দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই একটি লেখচিত্র প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। কীভাবে গত কয়েকদিনে করোনায় পজিটিভিটি রেট বাড়ছে, তা রাজ্য সরকারের সর্বশেষ বুলেটিনেই স্পষ্ট। চতুর্থীর দিন রাজ্যে একদিনে করোনার এই পজিটিভিটি রেট ছিল ২.১৩%। পঞ্চমীতে তা বেড়ে হয় ২.১৫%। ষষ্ঠীর দিন পজিটিভিটি রেট আরও বেড়ে পৌঁছয় ২.৩২ শতাংশে। নবমীতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ২.৯৩ শতাংশ।
করোনার গ্রাফচিত্রের উর্ধ্বমুখী হার দেখে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরাও। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, পুজোর ৪ দিনে ১.২ শতাংশ থেকে বেড়েছে। পুজোর আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে এসেছিলেন, বাংলা তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। যেভাবে পুজোয় বেসামাল জনতা, তাতে আরও একবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিত্সকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের ওপরে হলেই ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে।
আরও পড়ুন: Corona Update: মিলছে না হিসেব, পুরসভা বলছে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ৪৪৯, স্বাস্থ্য দফতর জানাল ২৬৮!