কলকাতা: জামিনের আবেদন আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। একদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। সোমবার ফের বিশেষ ইডি আদালতে তোলা হবে অর্পিতাকে। রবিবারের রাত সিজিও কমপ্লেক্সেই কাটবে তাঁর। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছয় অর্পিতার গাড়ি। রাত তখন প্রায় সওয়া ৮টা।
এদিনই শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী এজলাসে বলেছিলেন, এ মামলা যেন পেঁয়াজের খোসার মতো। ছাড়ালেই নতুন তথ্য। কড়া নিরাপত্তায় এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতাকে। তামাম রাজ্য, দেশ এখন তাঁকে চিনছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে। সংবাদমাধ্যমের নজর এড়াতে এদিন তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সের পিছনের গেট দিয়ে ঢোকানো হয়। এদিন শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী মন্তব্য করেন, অর্পিতার মামলা অনেকটা আলিবাবার বাক্সের মতো। খুললেই ধনরত্ন বেরিয়ে আসছে।
প্রথমে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হরিদেবপুরের অভিজাত আবাসন থেকে। পরে সময় যত এগিয়েছে, আরও মহার্ঘের খোঁজ মিলেছে। বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না কী নেই। তিনটি সংস্থারও খোঁজ মিলেছে। যাঁর মালকিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেই ইডি সূত্রে খবর। তিনটির একটি তাঁর অভিজাত আবাসনের ঠিকানায়, বাকি দু’টি বেলঘরিয়া ও রাজডাঙায়। এ ছাড়াও প্রচুর সম্পত্তি তাঁর নামে রয়েছে বলেই মনে করছে ইডি। সবে হিমশৈলের চূড়া দেখা গিয়েছে। আরও অনেক কিছু বাকি বলেই মত তদন্তকারীদের। এই সম্পত্তি, টাকার উৎস জানতে মরিয়া ইডি।
অন্যদিকে এদিনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ইডির এসএসকেএম-মামলায় রায়দান হয়। সন্ধ্যা গড়িয়ে সেই রায় কলকাতা হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। সোমবার সকালে পার্থকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভুবনেশ্বর এইমসে। নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, এন্ডোক্রাইনোলজির মতো বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করবেন পার্থকে। তার রিপোর্টে দিতে হবে বেলা ৩টের মধ্যে। সূত্রের খবর, বিকেল চারটেয় ইডি আদালতে ভার্চুয়ালি তোলা শুনানি হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার।