Paresh Adhikari: ১০ ঘণ্টার জেরা শেষে ফের শনিবার পরেশকে তলব সিবিআইয়ের

CBI: এদিন সকাল ১১টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে।

Paresh Adhikari: ১০ ঘণ্টার জেরা শেষে ফের শনিবার পরেশকে তলব সিবিআইয়ের
ফের তলব পরেশ অধিকারীকে। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 9:33 PM

কলকাতা: বৃহস্পতিবার সাড়ে তিন ঘণ্টা, শুক্রবার প্রায় ১০ ঘণ্টা। শনিবার ফের নিজাম প্যালেসে ডাকা হল পরেশ অধিকারীকে। এদিন সকাল ১১টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে। মূলত, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুলের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিছক প্রশ্ন বললে লঘু করা হয় অভিযোগ। বরং বলা ভাল, অঙ্কিতার চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও চাকরি পান তিনি। এমনকী মেধা তালিকায় নাম না থাকলেও এক লাফে অঙ্কিতা তালিকার শীর্ষে চলে যান বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে ববিতা সরকার নামে এক চাকরি প্রার্থী মামলা করেন। সেই মামলার গেরোয় পরেশ ও পরেশ-কন্যা।

শুক্রবার সকাল সকাল ১০টা ৩৮ নাগাদ পরেশ অধিকারী সিবিআই দফতরে ঢোকেন। বের হলেন রাত প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ। টানা এই জেরায় বেশ কিছু উত্তরে খটকা লেগেছে তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, তাই শনিবার ফের তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এদিন জিজ্ঞাসাবাদপর্ব সেরে যখন পরেশ নিজাম প্যালেস থেকে বেরোচ্ছিলেন, সে সময়ই তাঁর হাতে তৃতীয় নোটিসটি ধরিয়ে দেয় সিবিআই। জানিয়ে দেওয়া হয়, ফের শুক্রবার সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।

শুক্রবারই হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে মামলাকারী ববিতা সরকার বলেন, “২০১৮ সালে যখন তালিকা প্রকাশ হয় তখন থেকেই আমার মাথায় ঘুরছিল কোথাও একটা কিছু ভুল হচ্ছে। প্রশ্ন ছিল অঙ্কিতা কীভাবে যুক্ত হল তালিকায়। যেদিন আমাদের মেধাতালিকা বদল হয়, তার তিনদিন পর থেকে আমার লড়াই শুরু হয়।” বাচ্চা ছোট থাকায় কিছুটা সময় লাগে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা। দাখিল করেন সমস্ত নথি। অঙ্কিতার রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি রয়েছে। ২০১৮ সালে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন অঙ্কিতা। অভিযোগ ওঠে, বাবার প্রভাব খাটিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি জুটিয়েছেন মেয়ে।

২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসির দ্বিতীয় মেধা তালিকায় প্রথমে নাম ছিল অঙ্কিতার। অথচ প্রথম মেধাতালিকায় ২০ জনের মধ্যে নাম ছিল না মন্ত্রী-তনয়ার। দ্বিতীয় মেধা তালিকায়  ২০ নম্বরে থাকা ববিতার চেয়েও ১৬ নম্বর কম পান অঙ্কিতা। ২০ নম্বরে থাকা প্রার্থী ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭ ছিল, অঙ্কিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬১। পার্সোনালিটি টেস্টেও বসেননি অঙ্কিতা। অথচ ববিতা সে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এরপরই স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হয়ে যান পরেশ অধিকারীর মেয়ে।