কলকাতা: সিবিআই (CBI), ইডি (ED) নাকি আয়কর বিভাগ, কোনটা নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি ভাবনা? মঙ্গলবার তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনের পর এমন প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে বিভিন্ন মহলে। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Ballygung By-Election)। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল এদিন ভোট প্রচারের মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, তিনি শুনছেন তাঁর পিছনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তা করছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু দিল্লিতেও এ নিয়ে দরবার করেছেন বলে দাবি করেন বাবুল। বাবুলের এমন দাবি ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে। এতদিন কেন বাবুলের এরকম কিছু মনে হল না? কেন বিধানসভা ভোটের আগে এমন কথা তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপির অবশ্য দাবি, বাবুলের কলকাতায় কোনও গ্রহণযোগ্যতাই তৈরি হয়নি। ভোট প্রচারে এ ধরনের কথাবার্তা প্রচারের আলোয় থাকার চেষ্টা বলেই মত গেরুয়া শিবিরের।
গত কয়েকদিনে ইডি, সিবিআইয়ে জর্জরিত শাসকদলের একাধিক নেতা। এরইমধ্যে বাবুল সুপ্রিয় মঙ্গলবার দাবি করেন, “আমার কখনও ইডি বা সিবিআইয়ের ভয় লাগেনি। রোজভ্যালির সঙ্গে তিনটে ছবি করেছি। সারদার যিনি মালিক তাঁর সঙ্গে স্টেজে নেচেছি। দুর্গাপুরে ওনার অফিসের আমি ওপেনিং করেছি। কিন্তু মুম্বইয়ের শিল্পীরা যেমনভাবে আসত, পারিশ্রমিক নিত, চলে যেত, আমিও সেটাই করেছি। আদালত যদি কখনও নির্দেশ দেয় সারদা বা রোজভ্যালি থেকে যারা টাকা নিয়েছে, তাদের সমস্ত পারিশ্রমিক ফেরত দিয়ে দিতে হবে, ওটা গরীব মানুষের টাকা, তবে সেই লাইনে বাবুল সুপ্রিয়কে পাবেন। কিন্তু কেউ ভয় দেখাবে বলে আমি আমার গান গেয়ে রোজগার করা টাকা দিয়ে দেব, সেই লাইনে আমাকে পাওয়া যাবে না।”
একইসঙ্গে বাবুল এদিন বলেন, “শুনছি অনেক কিছুই। শুভেন্দু অধিকারী তো বিধায়কদেরও ভয় দেখাচ্ছেন সিবিআই হবে, আইটি রেইড হবে। আমাকেও ওনার বন্ধুরাই বলছেন। উনি অমিত শাহের হাতে পায়ে ধরছেন আমার বিরুদ্ধে যেন ইডি, সিবিআই বা আয়করের কিছু একটা করা হয়।” কিন্তু হঠাৎ কেন বাবুলের মনে এমন আশঙ্কা তৈরি হল? এর আগে বহু তারকাকে এই ধরনের ভুঁইফোড় সংস্থার নানা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকজনকে তদন্তকারীরা তাঁদের র্যাডারেও রেখেছে। তবে বাবুল কেন এমন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তা নিয়ে জোর চর্চা।
এ প্রসঙ্গে বাবুলকে কার্যত তাচ্ছিল্যের সুরেই নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। শমীক বলেন, “কেউ যখন রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেন তখন বড় মানুষের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করতে চান। বাবুলের মত একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষের এই দীনতা দেখে দুঃখ হয়।”
আরও পড়ুন: Coal Scam: কয়লা-গরুকাণ্ডে উদয়নকেও ইডির তলব! এ খবর শুনে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই FIR দিনহাটার বিধায়কের