Digha Jagannath Temple: দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে ‘বিশেষ বাক্স’ সটান আসবে আপনার বাড়ি! বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্যের, কী থাকছে তাতে?
Digha Jagannath Temple: ২৭-এ জুন থেকে শুরু হচ্ছে রথ। প্রস্তুতি চলছে দীঘাতেও। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পাঠানো সেই বিশেষ বাক্স আসবে ঠিক রথের আগেই। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রথের দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে প্রসাদের বাক্স বিলির কাজ।

কলকাতা: দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে সরাসরি পৌঁছে যাবে রাজ্য়ে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ পরিবারের ঠিকানায়। শহর তথা শহরতলী, এমনকি জেলায় জেলায় পাঠানো হবে এই বিশেষ বাক্স। পাঠানো হবে বাংলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও। কিন্তু হঠাৎ এই বাক্স পাঠাচ্ছে কেন সরকার? কী বা এমন থাকবে তাতে?
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার দিঘার জগন্নাথ ধামের প্রসাদ বাড়ি বাড়ি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য। ইতিমধ্য়ে জরিপের কাজ সেরে নিয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। জেলার এসডিও এবং বিডিও-দের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। ১৭ই জুন থেকে শুরু হয়ে যাবে কাজ।
২৭-এ জুন থেকে শুরু হচ্ছে রথ। প্রস্তুতি চলছে দিঘাতেও। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পাঠানো সেই বিশেষ বাক্স আসবে ঠিক রথের আগেই। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রথের দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে প্রসাদের বাক্স বিলির কাজ। যদি প্রত্যন্ত এলাকা বা কোন কারণে জেলায় প্রসাদ পৌঁছোতে দেরি হয়, তা হলে ৪ঠা জুলাই উল্টো রথের মধ্যে এই প্রসাদ পৌঁছে দিতেই হবে। কোনও মতেই তার থেকে বেশি দেরি করা যাবে না।
প্রসাদের বাক্সে কী কী পাঠাবে রাজ্য?
প্রসাদের সেই বাক্সে পাঠানো হবে মন্দিরের একটি ছবি, একটি করে প্যারা ও গজা। থাকবে জগন্নাথ ধাম থেকে পুজো করা খোয়াক্ষীরও। এছাড়াও, জেলার প্রতিটি জেলাশাসককে বলা হয়েছে, নিজেদের এলাকার সেরা মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের তালিকা তৈরি করে রাখতে।
এই ক্ষেত্রে প্যাকেজিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। রাজ্যের খাদ্য দফতরের দুয়ারে রেশনের পরিকাঠামো ব্যবহার করে প্রত্যেক এলাকায় চলবে প্রসাদ বিতরণের কাজ। পাড়ায়-পাড়ায় হবে মাইকিং, জানিয়ে দেওয়া হবে কোন দিন, কোথা থেকে এই প্রসাদ সংগ্রহ করা যাবে। যারা আসবেন তাদের প্রত্যেককে প্রসাদ দেওয়া হবে। এত গেল জেলার কথা। শহরে প্রসাদ বিলি হবে কীভাবে? জানা গিয়েছে, কলকাতায় পুরসভার কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাড়ি-বাড়ি প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার রোডম্যাপ তৈরি করার।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনেই এই প্রসাদ বিলির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই প্রতিশ্রুতি মেনেই চলবে কাজ। জানা গিয়েছে, রাজ্যের সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি বিশিষ্টদের বাড়িতেও যাবে প্রসাদ। এমনকি, দেশের বিশিষ্টদের বাড়িতেও পাঠানো হবে সেই বিশেষ প্রসাদ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে প্রসাদ পৌঁছে গিয়েছে।

