AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rinku Majumdar’s Son Death: ‘আজই ওনাকে বলতাম…’, ছেলে হারিয়ে বড় আক্ষেপ রিঙ্কুর গলায়

Rinku Majumdar’s Son Death: বন্ধুদের কাছেও মন খারাপের কথা খুলে বলতো না। আপসেট থাকলেও এ বিষয়ে কথা এড়িয়ে যেত সৃঞ্জয়। এমনটাই বলছেন রিঙ্কু। তিনি বলছেন, “বন্ধুদের কাছে বলতো তোরা তো বাড়িতে গেলে মা-বাবাকে দেখতে পাস। তাই তোরা আমার ব্যাপারটা বুঝবি না। আবার বলতো আমি হ্যাপি আছি।”

Rinku Majumdar’s Son Death: ‘আজই ওনাকে বলতাম…’, ছেলে হারিয়ে বড় আক্ষেপ রিঙ্কুর গলায়
আর কী বলছেন রিঙ্কু? Image Credit: TV 9 Bangla GFX
| Edited By: | Updated on: May 13, 2025 | 6:35 PM
Share

কলকাতা: “একটু আপসেট থাকতো। আমাকে বুঝতে দেয়নি। কিন্তু, আমি তো মা ঠিক বুঝতে পারছিলামl” ছেলের মৃত্যুর পর ভেজা চোখে বারবার এ কথাই বললেন রিঙ্কু মজুমদার। এদিন সকালেই নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে রিঙ্কুপুত্র সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের (২৭) দেহ। মৃত্যু ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ। এদিকে পরিবার সূত্রে খবর, নিউরোর সমস্যা ছিল, নিয়মিত ওষুধও ছিল। রিঙ্কুও বলছেন সে কথা। তবে বেশ কয়েকদিন ওষুধ ঠিক মতো খাচ্ছিল না। আপসেট থাকতো। 

রিঙ্কু বলছেন, “একটু আপসেট থাকতো। আমাকে বুঝতে দেয়নি। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম খাওয়া দাওয়া করছে না। রান্নার লোক এসে বেল দিয়ে চলে যাচ্ছে! ঘুম থেকে উঠেই অফিসে দৌঁড়াচ্ছে। বলতো অফিসে খেয়ে নেব।” ছেলের অবস্থা নিয়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যে তাঁর ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে তাও বলেন রিঙ্কু। তিনি বলছেন, “আমি সবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম ওনাকে বলব। আজই বলব ভেবেছিলাম দেখো ছেলেকে এখানে নিয়ে আসতে হবে, নাহলে আমাকে ছেলের সঙ্গে থাকতে হবে। একদিন কথাবার্তা হচ্ছিল। উনি বলেছিলেন ওকে একটু থিতু হতে দাও। আসলে আমাদের রুমের সমস্যা ছিল। কিন্তু আমি ভাবছিলাম ছেলের ঠিক মতো যত্ন হচ্ছে না। ওর মনটা ঠিক ছিল না। আমি মা তো। ঠিক বুঝতে পারতাম।” 

বন্ধুদের কাছেও মন খারাপের কথা খুলে বলতো না। আপসেট থাকলেও এ বিষয়ে কথা এড়িয়ে যেত সৃঞ্জয়। এমনটাই বলছেন রিঙ্কু। তিনি বলছেন, “বন্ধুদের কাছে বলতো তোরা তো বাড়িতে গেলে মা-বাবাকে দেখতে পাস। তাই তোরা আমার ব্যাপারটা বুঝবি না। আবার বলতো আমি হ্যাপি আছি।” এমনকী এদিন সকালে খবরটা পাওয়ার পর প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। খবর পেয়েই দৌড়। তিনি বলছেন, “আমি যখন গেলাম ও হাফপ্যান্ট পরে শুয়েছিল। পাশের ফ্ল্যাটের একটা ছেলে ওকে তেল মালিশ করছিল যদি জ্ঞানটা ফেরানো যায়।”