Electricity in Bengal: বিদ্যুতের ঘাটতি নেই, রাজ্য জুড়ে পরপর ‘লোডশেডিং’-এর কারণ আসলে একেবারে অন্য
Electricity in Bengal: অভিযোগ উঠেছে, আমফানের সময় রাজ্য জুড়ে যে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছিল, তারপরও গাফিলতি ছিল বিদ্যুৎ দফতরের। বিদ্যুতের যে তার সংযোগের কাজ হয়েছিল, তা অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল বলেই অভিযোগ।
কলকাতা: শহর থেকে শহরতলি, গরম বাড়তেই সর্বত্র বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ছবি। রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটাচ্ছেন অনেকে। শুধুমাত্র এসি-র বাড়বাড়ন্তই এই লোডশেডিং-এর কারণ? নাকি বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতি হয়েছে দিনের পর দিন? তথ্য বলছে, রাজ্যে যে সব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে, তা থেকে মোট প্রায় ৬০০০ থেকে ৬৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এছাড়া বাকি বিদ্যুৎ চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলি থেকে কিনতে হয়। এছাড়াও খোলা বাজার থেকেও বিদ্যুৎ কিনে সরবরাহ করা হয় রাজ্যে।
রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, আপাতত উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সেই পরিমাণে নেই, আবার ঘাটতিও কার্যত নেই বললেই চলে। যে পরিমাণ লোডশেডিং হচ্ছে, তার কারণ সম্পূর্ণ অন্য বলেই মনে করছে বিদ্যুৎ দফতরের একাংশ। দফতরের গাফিলতির কথাও সামনে আসছে।
সূত্রের খবর, গত দু’বছর ধরে যে বিপুল পরিমাণে এসি কেনা হয়েছে, সেই সব বাড়ির মালিকরা লোড সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানায়নি বিদ্যুৎ দফতরকে। টনের পর টন এসি মেশিন বসানো হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতিটা কোথায়? এবার গ্রীষ্মে তাপমাত্রা যে ভয়ঙ্কর আকার নেবে তা আগে থেকেই আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী বিদ্যুৎ দফতরের তরফে নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা। যে এলাকাগুলিতে মূলত লোডশেডিং হচ্ছে, সেই এলাকাগুলি অতীতেও বারবার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তারপরও কেন শিক্ষা নিল না বিদ্যুৎ দফতর? ট্রান্সফর্মারগুলি আগেভাগেই খতিয়ে দেখলে কি এমন বিপর্যয় ঘটত?
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, অতীতে বিদ্যুৎ দফতর এবং সিইএসসি একযোগে এপ্রিল থেকে জুনের মাঝে কাজ করত, অতিরিক্ত বিদ্যুৎও কিনে রাখা হত। বেশি থাকলে পরে সেটা বিক্রিও করে দেওয়া হতো। কিন্তু এখন টাকার অভাবে সেই কাজ করা সম্ভব হয় না বলেই জানা গিয়েছে। কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইউনিট প্রতি মাশুল বাড়ানো হয়েছিল সেই ২০১৬ সালে। তারপর জ্বালানির দাম বেড়েছে বিপুল হারে। ফলে সামাল দিতে পারছে না দফতর।
এখন কী সমস্য়া হচ্ছে?
জানা যাচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে ট্রান্সফর্মারগুলি উত্তপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আগুন ধরে গিয়ে বিকল হয়ে যাচ্ছে ট্রান্সফর্মারগুলি। অভিযোগ উঠেছে, আমফানের সময় রাজ্য জুড়ে যে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছিল, তারপরও গাফিলতি ছিল বিদ্যুৎ দফতরের। বিদ্যুতের যে তার সংযোগের কাজ হয়েছিল, তা অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল বলেই অভিযোগ। ফলে বিদ্যুতের লোড টানতে পারছে না সেই তার। সেই কারণেও কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।