AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC & BJP Reaction: হিরণের ঘাস-ফুলে যোগ দেওয়া কি সময়ের অপেক্ষা? কী বলছে তৃণমূল-বিজেপি?

হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনায় কার্যত ঘৃতাহুতি করেছেন বর্তমান তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তবে বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি।

TMC & BJP Reaction: হিরণের ঘাস-ফুলে যোগ দেওয়া কি সময়ের অপেক্ষা? কী বলছে তৃণমূল-বিজেপি?
হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির প্রতিক্রিয়া।
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2023 | 10:04 PM
Share

কলকাতা: বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় কি সত্যিই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন? শুক্রবার TV9 বাংলার হাতে একটি ছবি প্রকাশ্যে আসার পর এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এই জল্পনায় কার্যত ঘৃতাহুতি করেছেন বর্তমান তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। অন্যদিকে, তৃণমূলের লোগো দেওয়া দেওয়ালের সামনে সোফায় অজিত মাইতির সঙ্গে হিরণের বসে থাকার ছবিটি পুরোনো বলে দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। আবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং বিজেপির মুখপাত্র সজল ঘোষও।

বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় আদৌ তৃণমূলে আসছেন কিনা তা সময় হলেই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “অনেকেই এরকম গোপনে দেখা করছেন। গোপনে বৈঠক করছেন। দরজা খোলার কিঞ্চিৎ ট্রেলার এটা। দরজা সম্পূর্ণ খোলা হলে কী হবে, দেখা যাবে।” তবে বর্তমানে রাজ্য-রাজনীতিতে হিরণের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছে, তার নিরসনের দায়িত্ব তৃণমূলের নয় বলেও দাবি জানান জয়প্রকাশ। তাঁর কথায়, “জল্পনা নিরসনের দায়িত্ব আমরা কেন নেব? যাঁরা আসছেন তাঁরাই দায়িত্ব নেবেন। তবে সময় হলেই তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে সব বলা হবে।” এপ্রসঙ্গে বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকেও একহাত নিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং মিঠুন চক্রবর্তী একই ইন্ডাস্ট্রির লোক। ফলে এই বিষয়ে মিঠুন চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করুক বলেও দাবি জানিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার।

অন্যদিকে, হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইরাল হওয়া ছবিটি আদতে তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি জানিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “এরকম ছবি তো অনেকেরই দেখা যায়। কিছুদিন আগে বলা হল, অভিষেকের অফিসে মিটিং চলছে। এগুলি আসলে দলের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার একটা পদক্ষেপ। বারবার ছবি দেখানো হলে দলের অন্দরে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হবে। এটাই ওদের কৌশল।”

তবে হিরণ চট্টোপাধ্যায় ফের দল বদল করতে চলেছেন বলেই ইঙ্গিত রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। তাঁর কথায়, “আগেই যুব নেতা তথা সাংসদ, যুবদের আইকন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যদি একটু একটু করে দরজা খোলা হয় তাহলে দেখবেন কী হয়! আসলে মানুষ বোঝে কে কোথায় সম্মান পায়।” এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিজেপি তৃণমূলের ক্ষতি করার চেষ্টা করলেও আদতে ওদের দলেরই ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, “তারিখের পর তারিখ দিয়েছিল। তবে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি করতে পারেননি। অথচ অনেক ঘটনা ঘটেছে যা কাম্য নয়। কাদের প্ররোচনায় হয়েছে, সেটা পরে দেখব। তবে আজ দেখলাম, বিজেপি বিধায়ক সাংসদের কাছে এসেছেন!”